সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জনসমুদ্র

সময়: 8:19 am - December 20, 2025 |

মানব কথা: জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। মানিক মিয়া এভিনিউতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাত্র-জনতাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ সময় চীন থেকে আনা ৮টি আর্চওয়ে গেট দিয়ে হাজারও সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ শরীফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হচ্ছেন।

মনোহরদীতে নিজ ইটবাহী ট্রলি চাপায় ট্রলি চালক নিহত

“হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। দাফন হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই।

বেলা সাড়ে ১১টা বাজার আগেই পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় তারা ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সবার কণ্ঠে একই আওয়াজ। হাদি হত্যার বিচার চাই।

এদিকে শহীদ হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের সকল প্রবেশ পথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।

এ ছাড়া র‍্যাব ও আনসার সদস্যরাও রয়েছেন নিরাপত্তা নিশ্চিতে। পাশাপাশি বিশেষ টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী।

ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহীদ হাদির পরিবারের বিশেষ ইচ্ছা ও দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। জানাজা শেষে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক মর্যাদায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হবে।

এর আগে আজ সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে আততায়ীর গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মারা যান হাদি। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছালে বিমানবন্দরে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সিঙ্গাপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার কফিন দেশে আনা হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর