গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা চুক্তি সইয়ের খুব কাছাকাছি : জো বাইডেন
মানব কথা: গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা চুক্তি সইয়ের খুব কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন তা ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা চুক্তি সইয়ের খুব কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, তিনি সমঝোতায় নিযুক্ত তার প্রতিনিধিদের শুক্রবার পেশ করা নতুন প্রস্তাব সামনে এগিয়ে নিতে বলেছেন। প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সমঝোতায় উপনীত হওয়া ও বন্দীদের মুক্তির ভিত্তি রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসির সাথে আলাপ করেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এবারের আলোচনা সবচেয়ে ফলপ্রসূ পর্যায়ে রয়েছে। এটি সম্পন্ন করার জন্য মধ্যস্থকারীরা আবার আগামী সপ্তাহে কায়রোয় বসবেন। আশা করছি, চুক্তি হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে চুক্তি বিষয়ে মধ্যস্থকারীরা আলোচনা করেছেন। এখন তাদের মধ্যে আলোচনার ইতি টানার জন্য বাস্তবিক অর্থেই উদ্যোম দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আরেকটি প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে সমঝোতার কিছু পয়েন্ট রয়েছে। এটি মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছে। তাই দ্রুত চুক্তি কার্যকর হতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনা এখন ফলাফল বেরিয়ে আসা, মানুষের জীবন রক্ষা করা, গাজার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমিয়ে আনার পর্যায়ে রয়েছে।
গাজা যুদ্ধের অবসানে গত বৃহস্পতিবার সাম্প্রতিকতম দফার আলোচনা শুরু করেন ইসরাইল ও অন্য দেশগুলোর মধ্যস্থতাকারীরা। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস চলতি আলোচনায় সরাসরি অংশ না নিলেও আলোচনার বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি নিয়ে অবগত করা হচ্ছে তাদের।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় চলা আলোচনা গতকাল শুক্রবার স্থগিত হয়ে গেছে। তবে মধ্যস্থতাকারীরা আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আবার আলোচনায় বসবেন। এ প্রক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান এবং অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
সূত্র : রয়টার্স