সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরীয় লেখক লাসজলো ক্রাসনাহোরকাই

মানব কথা: সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার পুরস্কার স্বরূপ এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসজলো ক্রাসনাহোরকাই। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তার নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলেছে, ‘আকর্ষণীয় এবং দুরদর্শী রচনার জন্য তাকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, তার লেখনি বৈশ্বিক ভয়াবহতার মধ্যে শিল্পের শক্তিকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই ১৯৫৪ সালে রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে জন্মগ্রহণ করেন। অনুরূপ একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলই হলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের প্রথম উপন্যাস সাতানটাঙ্গোর (১৯৮৫ সালে প্রথম প্রকাশিত) প্রেক্ষাপট।
এই উপন্যাসে হাঙ্গেরির গ্রামীণ এক পরিত্যক্ত সমবায় খামারে বাস করা একদল দরিদ্র মানুষের কথা বলা হয়েছে। সমাজতন্ত্রের পতনের ঠিক আগমুহূর্তে যাঁরা অনিশ্চয়তা ও নিরাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এই উপন্যাসটি হাঙ্গেরির সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই লেখকের ব্রেকথ্রু কাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই উপন্যাস।
আমেরিকান সমালোচক সুজান সোনট্যাগ লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স (১৯৮৯ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ১৯৯৮) পড়ে ক্রাসনাহোরকাইকে বলেছিলেন সমসাময়িক সাহিত্যের ‘অ্যাপোক্যালিপসের মাস্টার’।
লাসলো ক্রাসনাহোরকাই মধ্য ইউরোপীয় ঐতিহ্যের একজন মহাকাব্যিক লেখক। এই ধারার পরিচিত লেখক হলেন কাফকা। তার লেখার ধরণে আছে উদ্ভট। তাকে নোবেল কমিটি বলেছেন ‘চিন্তাশীল, সূক্ষ্মভাবে পরিমিত স্বর গ্রহণকারী’।