সবজির সরবরাহে স্বস্তি, কমেনি দাম
মানব কথা: শীতের আগমনে সাধারণত সবজির দাম কমে আসে, কিন্তু রাজধানীর কাঁচাবাজারে এবার সেই চিরচেনা চিত্রটি উল্টো। বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। এর মধ্যে কোনো কোনো সবজি আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাজার করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। শুধু সবজিই নয়, পেঁয়াজের ঝাঁজও কমেনি।
বাজারে বেগুন, পেঁপেসহ কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে এলেও মৌসুমি সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামে এখনও লাগেনি শীতের ছোঁয়া; ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।
গত সপ্তাহে বেগুন ৮০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া ৪০ টাকার মুলা ৩০ টাকা, ৫০ টাকার কুমড়ো ৪০ টাকা, ৪০ টাকার পেঁপে ৩০ টাকায় এবং ৮০ টাকার গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি
তবে শীতকালীন অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি ফুলকপি এ সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, কোথাও কোথাও ১৩০ টাকাতেও বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। তখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকায় স্থিতিশীল হয়।
সবশেষ ১০-১২ দিন আগে ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে, দাম ওঠে ১৫০-১৬০ টাকায়। এরপরই আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তবু কমেনি পেঁয়াজের দাম।
এদিকে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েকবার চেষ্টা করার পর ৭ ডিসেম্বর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়েছে। নতুন দরে এখন এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়, আর ৫ লিটার ৯৫৫ টাকায়।
অন্যদিকে ডিমের দামে স্বস্তির খবর। ফার্মের এক ডজন ডিম এখন ১৪০ টাকা থেকে কমে ১২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০–৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাছের দামে খুব বিশেষ কোনো পরিবর্তন নেই, এর দাম সব সময় বাড়তিই থেকে যায়। পাইকারি বাজারে মাছের দামে কিছুটা এদিক-সেদিক হলেও খুচরা বাজারে সে প্রভাব এসে পৌঁছায় না। ফলে বাড়তি দামেই মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি চাষের শিং ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি তেলাপিয়া আকার ভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শোল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

















