লাখো কণ্ঠের উচ্ছ্বাসে তারেক রহমানকে স্বাগত
মানব কথা: অবশেষে শেষ হলো দীর্ঘ ছয় হাজার ৩১৪ দিনের প্রতীক্ষা। ১৭ বছর পর প্রিয় মাতৃভূমির মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে পূর্বনির্ধারিত বাসে করে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় গণসংবর্ধনার সমাবেশস্থলে রওনা দেন তিনি। তাকে একনজর দেখতে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছেন সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে স্ত্রী-কন্যাসহ তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান। সেখানে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গুলশানের বাসায় যান।
এর কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসে জুতা খুলে শিশির ভেজা ঘাসে পা রাখেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি একমুঠো মাটিও হাতে তুলে নেন। এরপর বাসে করে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে গণসংবর্ধনাস্থলে রওনা হন তিনি। বাসটির গায়ে লেখা রয়েছে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার সময় পথে পথে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। তারেক রহমানও বাসের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নেড়ে নেড়ে অভিবাদন গ্রহণ করছেন।
দলীয় পতাকা-ব্যানার হাতে ভোর থেকেই রাজধানীর ৩০০ ফিটে জড়ো হন লাখো নেতাকর্মী। প্রত্যেকেই পথ চেয়েছিলেন তারেক রহমানের। অবশেষে সবার অপেক্ষার অবসান ঘটে দুপুর ২টা বেজে ৫ মিনিটে। গণসংবর্ধনাস্থলে প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান নারী-শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-যুবা সবাই। অনেকেই হাত উঁচিয়ে সালাম জানান। তাদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস-আনন্দ আর নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে বিএনপি। কুড়িল মোড়সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ।













