ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট
মানব কথা: দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশে বেড়েছে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ। এর ফলে ভোর থেকে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ কারণে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তির শেষ নেই। পাশাপাশি, টিকেট কাউন্টারগুলোতে যানবাহনের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সকাল সোয়া ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। বাকি অংশে তীব্র যানজট না থাকলেও যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম যাবার উদ্দেশ্যে সাইনবোর্ড থেকে মো: আল-আমীন গাড়িতে উঠেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘দেড় ঘণ্টায় তিনি কাঁচপুর ব্রিজ অংশে পৌঁছাতে পেরেছেন। বাকি পথ পাড়ি দিতে আরো কতক্ষণ লাগে কি জানি।’
আশরাফুল নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘টানা চার দিনের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু যানজটের কারণে আনন্দটা মাটি হয়ে গেছে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেইনে মদনপুর থেকে চিটাগং রুট, সানারপাড় পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট। সকাল থেকে যানজটের মানুষের ভয়াবহ দুর্ভোগ।’
যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘এদিকে টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরেকদিকে মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দের কারণে যানবাহনগুলো যথাসময়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থান যেতে পারছে না। এর ফলে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’