হামলা-সহিংসতা অভ্যুত্থানবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবি পার্টি
সহিংসতা ও জ্বালাও–পোড়াও ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এসব যারা করছে, তাদের অবিলম্বে এসব বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই আহ্বান জানায় এবি পার্টি।
দেশের জনগণসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেন, ‘আপনারা শান্ত থাকুন। আমরা আর একটিও মৃত্যু দেখতে চাই না। বিজয় অর্জনের পর আমাদের তা রক্ষা করতে হবে। বিজয়কে ধ্বংস করে এমন কোনো কাজ আপনারা করবেন না।’
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আপনাদের নেত্রী পালিয়েছেন কিন্তু আমরা দেশে আছি। যাঁরা অপরাধ করেননি, তাঁরা সমস্যা মনে করলে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে আমাদের জানান। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি এবি পার্টির পূর্ণ সংহতি রয়েছে বলে জানান মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এই সরকার গঠিত হলে এবি পার্টি আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের গঠনমূলক সব কাজে সার্বিক সহায়তা করবে। নতুন যে সরকার গঠিত হবে, তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করবে, আশা করব—যেন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত হয়।
মজিবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ২–৩ সপ্তাহ ধরে যে পরিমাণ নির্যাতন সরকার চালিয়েছে তা অবর্ণনীয়। এই আন্দোলন সফল করতে ছাত্র-ছাত্রীরা যে অকুতোভয় ভূমিকা রেখেছে, যেভাবে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, সাধারণ মানুষ যেভাবে আন্দোলনে শরিক হয়েছে, জীবন দিয়েছে তা অভাবনীয়। আমাদের গর্বের সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর পক্ষ নিয়েছেন, স্বৈরাচারের দোসর হননি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আইনজীবী তাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে দলটির সহকারী সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান, সিদ্দিকুর রহমান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল উপস্থিত ছিলেন।