ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান সিইসির

সময়: 12:39 pm - January 20, 2025 |

মানব কথা: ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে- আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি। তিনি বলেন, বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙালি ফাইট করতে জানে।

সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, “অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না।

“(ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।”

ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন।

“যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, ফ্রিলি-ফেয়ারলি ও ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ভোটে ব্যাপক কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাতে মানুষ যে ভোট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন নাসির।

তিনি বলেন, “মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। তরুণ অনেকে আমার সাথে দেখা করতে এলে বলে, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের আমি ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শুরু হল।

“এ সুযোগ সদ্ব্যবহারের যাত্রা শুরু হলো; লং জার্নি। ভোটার ক্যাম্পেইন থেকে আরম্ভ করে পছন্দের ভোট দেওয়া, ভোট গণনা করে প্রার্থী যে হোক, ভোট দেওয়া- এ পুরো জার্নিতে আমি আপনাদের সাথে চাই।”

ভোটের অনিয়ম বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ারও আহ্বান জানান সিইসি নাসির।

তিনি বলেন, “ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে- ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্যে এক হতে পারি না?

“কেন্দ্র পাহারা দেব, কেন্দ্র দখল করতে দিব না; অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ধারণা দিয়েছেন, মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে।

সরকার প্রধানের সেই সম্ভাব্য সময়সূচি ধরেই ইসি কাজ করে যাওয়ার কথা বলে আসছে। যদিও বিএনপির তরফে আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা হয়েছে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা স্থানান্তরের সুযোগ থাকছে এবারের হালনাগাদে।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে। এরপর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া, ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজ চলবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর