বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছে ভারত
মানব কথা: এম চিদারম্বর স্টেডিয়ামে ৫১৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় গুটিয়ে গেছে ২৩৪ রানেই। ২৮১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ভারত। একই সাথে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া টেস্টে টসে হেরে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করে ভারত। শতক হাঁকান রাবিন্দ্র জাদেযা ও রবিচন্দ্রন আশ্বিন। বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। জবাবে মাত্র ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, কেউ পায়নি ফিফটিও।
২২৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে আরো ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। এবার জোড়া শতক হাঁকান ঋষভ পন্থ ও শুভমান গিল। তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় তখন ৫১৫ রান।
ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ফলে বাংলাদেশকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতো। চেন্নাইয়ের মাঠে যা অনেকটাই অসম্ভব।
পারবে না জেনেও অনেকটা চেষ্টা চালায় টাইগাররা। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে তুলে ১৫৮ রান। জয়ের জন্য তখনো প্রয়োজন ৩৫৭ রান। তবে রোববার চতুর্থ দিনে মাত্র ৭৭ রান তুলেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের খেলার শুরুতে সাকিব আল হাসান ব্যাট করছিলেন ৫ রানে। তার সাথে চতুর্থ দিনে আরো ২১ রান যোগ করতেই শেষ হয় সাকিবের ইনিংস। ২৬ রান করে ফেরেন আশ্বিনের শিকার হয়ে। তার বিদায়েই দিনে প্রথম উইকেটের দেখা পায় ভারত।
লিটন দাসও ফিরেছেন এর পরপরই। থিতু হওয়ার আগেই জাদেযার শিকার হয়েছেন তিনি। ১০ বলে ১ রান এসেছে তার ব্যাটে। ৬ উইকেট হারিয়ে লেজ বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের। তবে আগের দিন ফিফটি করা নাজমুল শান্ত একাই লড়াই অব্যাহত রাখেন।
২২২ রানের মাথায় অবশ্য আর পারেননি শান্ত। ১২৭ বলে ৮২ রান করে থামেন তিনি। জাদেযার শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার আগে মেহেদী মিরাজও ফেরেন মাত্র ৮ রানে। তিনি শিকার আশ্বিনের। বাকিদের কেউ আর দুই অঙ্কের যেতে পারেননি।
৮৮ রানে ৬ উইকেট নেন আশ্বিন। ৩ উইকেট নিয়েছেন জাদেযা।