শামীম আখতারের বেপরোয়া দূর্নীতি, গণপূর্তের শৃংখলায় সেনা বাহিনী থেকে প্রধান প্রকৌশলী করার বিকল্প নেই

সময়: 8:45 am - October 28, 2024 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের অপ্রতিদ্বন্দী প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের বেপরোয়া দূর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে। খুনি হাসিনার হেলমেট বাহিনী তোষণ, ডামি নির্বাচনে অর্থায়ন, বিএনপি জামায়াতের ২৮ অক্টোবর ২০২৩ এর সমাবেশে হামলা চালাতে রতন কমিশনারের ক্যাডার বাহিনীকে খিচুরি রেধে খাওয়ানো ও তাদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসন করেছে।

জানা গেছে, শামীম আখতার, নিজেও ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কর্মী ছিলেন। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী মেরাজ এবিষয়ে প্রত্যয়ন দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছে প্রমানক হিসেবে অবশ্যই পাওায়া যাবে। গোপন অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি তার বাবা রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে চাকুরি করতেন। তিনি আসলে ভারতীয় গুপ্তচর ছিলেন, যার কাজ ছিল কোমলমতি শিশুদের মধ্যে ভারত প্রেম জাগ্রত করা ও অখন্ড ভারতের চেতনা জাগিয়ে তোলা। যাতে ওই সকল ক্যাডেটদের মধ্যে যারা সেনা বাহিনী সহ উচ্চ সরকারি পদে যাবে তাদের মধ্যে ভারত প্রীতি বজায় থাকে।

এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আমাদের প্রতিনিধি বেশ কয়েকজন রাজশাহীর এক্স ক্যাডেটের সাথে কথা বলেছেন। শামীম আখতারও সর্বস্ব উজার করে দিয়ে আওয়ামী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। এতকিছুর পরও শামীম আখতার কিভাবে প্রধান প্রকৌশলীর পদে বহাল থাকে তা সবাইকে বিস্মিত করে। আসলে ১৫ বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারে অপরাপর সদস্যদের অযোগ্যতা তাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। তার পূর্বসুরী আশরাফুল আলম, নিজেকে ফ্যাসিবাদের দোসর প্রমান করতে তার চেয়েও এক কাঠি সরস ছিলেন। কিন্তু খুনি হাসিনার সাথে স্বার্হে আঘাত লাগায় আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আশরাফুল স্বস্ত্রীক অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুদকের মামলায় বিচারাধীন। আশরাফুল কোনমতে চাকুরি শেষ করে গ্রেফতার এড়াতে দেশ থেকে লক্ষন সেনের বংশধর হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে পালানোর ধান্দায় আছেন। আশরাফুল মুজিববাদ কায়েমে এমন অগ্রগামী সৈনিক হিসাবে নিজেকে ট্যাগ লাগিয়েছিলেন যে খুনি হাসিনার পতনের পর তার আর ভোল পাল্টানোর কোন সুযোগ নেই।

এর পরেই আসে মোঃ মোসলেহ উদ্দীনের নাম, যিনি সদস্য প্রকৌশল হিসেবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে রয়েছেন। মোসলেহ উদ্দীন সাবেক পূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের লোক। তিনি ২০১৯ সালে কেসিনো কান্ডে ফাস হওয়া টেণ্ডার বানিজ্যের ছয় মাফিয়াদের একজন। তার সাথে জিকে বিল্ডার্সের গোলাম কিবরিয়ার বড় অঙ্কের আর্থিক লেন্দেনের তথ্য ততকালীন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা জোনে থেকে ব্যাপক টেন্ডার বানিজ্য করেছেন। জাগৃকেও নানা বিধ অনিয়ম ও দুর্ণীতির কারনে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছেন। তিনি সারাক্ষন নিজের ঢাক নিজে পেটান। বিগত ১৬ বছরে তিনিও ফ্যাসিবাদ কায়েমে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে গেছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সিলেট সার্কেল) ; বুয়েট ছাত্রলীগের গুন্ডা শাহ আলম ফারুক চৌধুরী; ভারতীয় এজেন্ট স্বররণেন্দু শেখর মন্ডল সহ পতিত ফ্যাসিবাদের কয়েকজন দোসর মোসলেহ উদ্দিনকে প্রধান প্রকৌশলীর চ্যায়ারে বসাতে দৌড়ঝাপ করছে। মোসলেহ উদ্দিন ও ভোলপাল্টে নিজেকে ‘জেন জি’ সমর্থক প্রমানে মরিয়া। তিনি ধানমন্ডিতে প্রাইভেট সুইমিংপুল সহ আট কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট করেছেন। তাছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিনি দুদকের বেড়াজালে বন্দী। নিজেকে বিএনপি পন্থী প্রমানে দিগভ্রান্তের মতো এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও শামীম আখতারের সাথে পেরে উঠছেন না।

এর পরেই আছেন ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা। তিনি পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান অরফে টিপু মুন্সির ভায়রা। কিন্তু টিপু মুন্সী অবসরে গেলে তিনি দীর্ঘদিন কোন ঠাসা ছিলেন। এখনও সাংবাদিক ও দুদুক দিয়ে শামীম আখতার তাকে নিয়মিত বিরতিতে হয়রানি করেন। ফলে চ্যায়ার বাঁচাতে এই কর্মকর্তা উচ্চাভীলাসী হওয়ার স্বপ্নও দেখেন না।

এরপরে রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নাছিম খান। নাছিম খান অত্যন্ত ধুর্ত প্রকৃতির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। সারা জীবন মফস্বলে অগুরুত্বপূর্ন চেয়ারে চাকুরি করা এই কর্মকর্তার যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। তিনি যে চেয়ারে আছেন তা তিনি কখনও স্বপ্নেও দেখেন নি। তাই শামীম আখতারের মোসাহেবি করাকেই তিনি পিঠবাচানোর উত্তম পন্থা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তাছাড়া নোয়াখালী, লক্ষীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দ্বায়িত্ব পালঙ্কালে তার বিরুদ্ধে ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসময় ওবায়দুল কাদের, তাহের, নিজাম হাজারিদের মেনেজ করে তিনি হরিলুট করেন। জামালপুরে থাকা কালীন মির্জা আজম এর সাথে টেন্ডার বানিজ্য করেছেন। তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা কালে তিনি টেন্ডারে মেজিক রেট বিক্রি করে ঠিকাদারের কাছ থেকে অঠেল টাকা নিয়েছেন। এই ছেছড়া কর্মকর্তা ঠিকাদারের পাসওয়ার্ড নিয়ে তার শিডিঊলও ফিলাপ করে দেন মর্মে আমাদের অনুসন্ধানটিম জানতে পেরেছে। তিনি আই,ই,বি তে যত বারই খুনি হাসিনা এসেছে ততবারই চাঁদাবাজি করে জনগনের করের টাকা দিয়েছেন। আই,ই,বির ভোট ডাকাতি করে প্রেসিডেন্ট হওয়া সবুরের প্রতিনিধি তিনি। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতা ছিলেন। রেহানা শেখের এই শিষ্যের আর ভোল পালটে বিপ্লবী হবার কোন পথ খোলা নেই। উলটো তার পেয়ারের ঠিকাদার গন যারা যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ;তাতী লীগ; আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী খাট যোদ্ধা পাপিয়া লীগের সাথে তার দহরম মহরম প্রমান করে তিনিছাত্র হত্যায় মদত দাতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে দুষ্ট।

এরপরে আসে উতপল কুমার দে এর নাম। এই দে খুনি হাসিনার অত্মস্বীকৃত লেস্পেন্সার। তিনি স্ত্রীর একাউন্টে দশ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহনের দ্বায়ে সাজা প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। এরূপ চিহ্নিত দূর্নীতিবাজের প্রত্যাবর্তন এই স্বাধীন বাংলায় কোন ভাবেই কাম্য নয়।

পি এন্ড এসপির শফিকুল ইসলাম দীর্গদিন অগুরুত্বপূর্ণ পদে থকে কোন ঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। তিনিও অতীতের কর্মস্থলে দূর্নীতির অভিযোগে শামীম আখতারের নিয়মিত হয়রানির স্বীকার হয়ে কোন মতে টিকে আছেন। এই কর্মকর্তা কোন ভাবেই উচ্ছাভিলাসী নন এবং কোন মহলঈ তাকে পরবর্তী উচ্চধাপের জন্য যোগ্য মনে করছেন না। এমন অবস্থায় শামীম আখতার অঢেল টাকা ঢেলে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দী ও অপরিহার্জ করে তুলেছেন। ফলে তাকে সরাতে চাইলেও বিকল্প খুজে পাচ্ছেন না। এই সুযোগটাই শামীম আখতার নিচ্ছেন। করে চলেছেন একের পর এক বদলী বানিজ্য। নিজেকে বাচাতে মার্কামারা কয়েকজনকে ঢাকার বাহিরে বদলী করতে বাধ্য হলেও এখনও সিটি ডিভিশন, ঢাকা ডিভিশন২ এর মতো স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ই নতুন করে পদায়ন করেছেন। তার কুকীর্তি দেখতে বিগত সাড়ে তিন বছরের পরিক্রমায় একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।

“ভন্ড পীরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও” গত ১৬ মে সকালে অফিস চলাকালীন হঠাৎ গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকম্পিত হয় এই স্লোগানে। কর্মকর্তা -কর্মচারীরা এই নজির বিহীন নৈরাজ্যে হতবিহবল হয়ে পড়েন। পূর্তভবন চত্ত্বর, দ্বিতীয় তলায় প্রধান প্রকৌশলীর অফিস সর্বত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেতারা “ভন্ড পীরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও” স্লোগানে প্রকম্পিত করে কথিত ভন্ডপীর তথা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার কে খুজে বেড়ান। প্রায় দুই ঘন্টা এই তান্ডব চললেও এসময় পালিয়ে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলীর দুই মহা পরাক্রমশালী ডান হাত হিসেবে নিজেদের জাহির করা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সওস) শহীদুল আলম এবং স্টাফ অফিসার (নির্বাহী প্রকৌশলী) মোহাম্মদ মাহফুজ আলম। ঘটনার সূত্রপাত ১৫ মে ২০২৪। সেদিন বিকেলে প্রধান প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নেতাদের সাথে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বসেন । সেই আলোচনা কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ করে দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তড়িঘড়ি করে বেড়িয়ে যেতে চান। এসময় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেতারা তার গাড়ির সামনে এলে তিনি গাড়ি না থামিয়ে ড্রাইভার কে চালিয়ে যেতে বলেন। এই ঘটনায় আহত হন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এতে গণপূর্তের সকল ডিপ্লমা প্রকৌশলীরা সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং তৎক্ষণাৎ এর প্রতিবাদে মিছিল বের করেন।

এই নিয়ে “ প্রধান প্রকৌশলীর শামীম আখতারের গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী” শিরোনামে দৈনিক আজকালের সংবাদসহ একাধিক পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে করণীয় নির্ধারনে ,ঢাকায় অবস্থিত সকল বিসিএস প্রকৌশলীকে ১৯ মে ২০২৪ সকাল ৯;০০টায় পূর্তভবনে উপস্থিত হতে আহবান জানান নগর গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। এই আহবান ছিল বিসিএস ক্যাডার প্রকৌশলীদের আত্ম মর্যাদা নিয়ে যে চাপা উত্তেজনা ছিল তা প্রশমিত করার একটা ছল মাত্র। এই ঘটনায় ক্যাডার কর্মকর্তা গন মনে করেন গণপুর্তে চেইন অব কমান্ড বলে কিছুই থাকলো না। এত বড় প্রশাসনিক ব্লান্ডারের পরও কেন শামীম আখতার কেন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলেন না সেটাই সবার প্রশ্ন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা; কর্মচারী; স্টেক হোল্ডারদের অনেকেই শামীম আখতার কে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে অযোগ্য প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে মনে করেন। এর পিছনে তারা অনেক গুলো কারণও রয়েছে বলে মনে করেন। যেমন তিনি মেধা তালিকায় ৭ম স্থানে ছিলেন এবং সামনের ৬ জনকে কূট কৌশলে মাইনাস করে প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ার হাতিয়ে নিয়েছেন। চাকুরী জীবনে এর আগে কখনই মেধার স্বক্ষর রাখতে পারেন নি বিধায় ভালো কোন চ্যায়ারে ছিলেন না। এমন কি অদক্ষতার কারনে তাকে ডিজাইন ৬ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে লক্ষ্মীপুরে বদলী করা হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বলতে এই লক্ষীপুরই তার স্বম্বল। তাই তার আত্মবিস্বাসের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

এরপর হাউজ বিল্ডিং এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে চাকুরির সময় খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন, সুযোগের অভাবে সৎ থাকা এই কর্মকর্তা একপ্রকার হরিলুট করেন। সেখানে নুসরাত নামের এক ঠিকাদারের সাথে মিলেমিশে ভাগবাটোয়ারা করে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দীর্ঘদিন মন্ত্রণালয়ে চাপা পড়ে আছে। এ বিষয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায়,” কাজ শেষ না হতেই বিল দেন প্রধান প্রকৌশলী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।এই নূসরাত নিজে কেরানীগঞ্জে ‘কিংডম বিল্ডার্স’ নামে অবৈধ আবাসন কোম্পানির মালিক। নুসরাতের সাথে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। কেরানিগঞ্জের গড ফাদার খ্যাত নসরুল হামিদ বিপু ও নুসরাত মিলে ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে শামীম কে চীফ ইঞ্জিনিয়ার বানাতে সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান কে মেনেজ করেন। ফেসি বাদের পতন হলে এই নুসরাত হোসেন তার মহাখালী ডিও এইচ এস এর বাসা থেকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শাহ কামালের সাথে বিপুল পরিমানে অবৈধ অর্থ সহ গ্রেফতার হন। মিডিয়া তে তিন কোটি টাকা সহ গ্রেফতারের খবর টি এলেও আসলে উদ্ধার কৃত টাকার পরিমান তিনশত সাতাশ কোটি । এই শাহ কামাল, নসরুল হামিদ বিপুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে থাকা কালীন নূসরাতের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ঊঠে। নুসরাতের ডেরায় উদ্ধার কৃত টাকার একটা সিংহ ভাগই, টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে কামানো শামীম আখতারের টাকা। জিজ্ঞাসা বাদে নূসরাত প্রধান প্রকৌশলীর তিন কেশিয়ার এর নাম বলেছেন। এই তিন ক্যাশিয়ার হলেন মিডিয়া সম্রাট সাভার সার্কেলের ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী একে এম সোহরা ওয়ার্দী, ছাত্র লীগ ক্যাডার সার্কেল ১ এর ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন এবং নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব । এই তিন মুরীদ রোজ সন্ধ্যায় মহাখালী ডি ও এইচ এস এ নূসরাতের ডেরায় যেয়ে সুরা পানের আসরে পীর সাহেবের সাথে জিকির করতেন।

তিনি নিজেও নুসরাত এর কিংডম বিল্ডার্সের একাংশের মালিক। নূসরাত কে আরেক জি কে শামীম বানাতে তিনি এখনও তৎপর । বড় টেন্ডার কিংবা কর্মকর্তাদের বদলী এমন কোন বিষয় নেই যাতে নুসরাতের হস্তক্ষেপ নেই। তার ব্যাপক বদলী বানিজ্যে অতিষ্ট হয়ে মন্ত্রণালয় এক বার তার সকল প্রকার বদলীর ক্ষমতা কেড়ে নেয়। এ নিয়ে দেশ রুপান্তর, কালবেলা, সমকাল, যুগান্তর সহ একাধিক পত্রিকায় একযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগে শতকোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে কালবেলা ও দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই দুইটি নিয়োগে তিনি প্রায় ২০০ (দুই শত) কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।গত ১৮ জানুয়ারি, জাতীয় দৈনিক কালবেলা তে ‘ গণপূর্তে১৬৯ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল গায়েব । জিডিতেই দায় এড়ানোর চেষ্টা ‘ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে জানা যায় ২০২৩ সালের ২০ ও ২৭ মে, ১৮ থেকে ২০ তম গ্রেডের ৬ ক্যাটাগরির ১৬৯ টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৪ জুন থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু তিন মাসেও সেই নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আলমের দুরভিসন্ধির কারনে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে তিনি মৌখিক পরীক্ষার রেজাল্টের ১৫ টি সিলগালা করা খামের একটি গায়েব করে দেন মর্মে সংবাদ সূত্রে জানা যায়। সংবাদ সূত্রে আরো জানা যায়, সিলগালা করা খাম গুলো নিয়োগ কমিটির আহবায়ক এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সংস্থাপন ও সমন্বয় মোঃ শহীদুল আলমের নিকট ট্রাঙ্কে তালা বদ্ধ ছিল, অন্য কারও পক্ষে এই ট্রাঙ্ক কোথায় রাখা ছিল তা জানা সম্ভব নয়। সংবাদ সূত্রমতে ২৮ নভেম্বর,২০২৩ রেজাল্ট এর খাম হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শাহবাগ থানায় সাধারন ডায়েরী(জিডি) করা হয় এই সময় এর মধ্যে অধিদপ্তর বিষয় টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

মিডিয়া কে ম্যানেজকরতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঢালেন। স্টাফ অফিসার মাহফুজ, মিডিয়াকে ম্যানেজ করতে ‘আমার বার্তা’ পত্রিকার জসীম, মিডিয়া মাফিয়া একজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাধ্যমে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেন। আবেদ আলী ধরা পড়লেও শামীম আখতার ধরা পড়েন না। এই আমার বার্তার সম্পাদক জসীম, সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সহযোগী। জসীম অশিক্ষিত অষ্টম শ্রেনী পাস একজন সম্পাদক। জসীম শামীম আখতারের জন্য রাজনৈতিক ও আমলা মহলে তদবীর করতে তারকা শিল্পী সাপ্লাই দিতেন। জসীম প্রযোজক সমিতির সদস্য হওয়ায় আওয়ামী খাট যোদ্ধা লীগের মিডিয়া কর্মীরা ছিলেন তার হাতের মুঠোয়।

ঠিক কাছাকাছি সময়ে ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক’ পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ পরীক্ষায় শহীদ নিজে টিএনটি ল্যান্ড ফোন থেকে এবং ডযধঃঃংঅঢ়ঢ় ব্যবহার করে পছন্দের প্রার্থীদের বেশী নম্বর পাইয়ে দিতে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। দুই একজন কর্মকর্তা এধরনের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে যখন সারাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাল সেই সময়ে এই পরীক্ষা গ্রহনের ফলে অনেক পরীক্ষার্থীই অংশ নিতে পারেনি। ফ্যাসি বাদের অন্যতম ক্রিড়ানক, ভারতীয় গুপ্তচর সাবেক মন্ত্রী র ম আ উবায়দুল মোক্তাদিরকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে সব যায়েজ করে নিয়েছেন। আশ্চর্য জনক হলেও সত্য, এই বিষয় গুলোও তিনি গণপুর্ত বীটের কিছু সাংবাদিকদের ম্যনেজ করে ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছেন। কয়েকজন সাংবাদিকদের জনপ্রতি নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও থাইল্যান্ডে প্লেজারট্রিপের ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন।

তিনি নিজে নুসরাত ও তার সহযোগীদের নিয়ে মানিকগঞ্জে মেশিন মেইড নন ফায়ার্ড ব্রিক ফেক্টরীতে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এবং সেই ফিল্ড থেকেই ব্রিক কিনতে ঠিকাদারদের বাধ্য করছেন। ঢাকা সহ সারা দেশে কাজ বাগিয়ে নিতে নূসরাত ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে জাল বিস্তার করেছেন। প্রধান প্রকৌশলীর সুইস ব্যাঙ্ক খ্যাত নূসরাত কে ৫(পাচ) % টাকা অগ্রীম দিলে তবেই কাজ পাওয়া যায়, অন্যথায় নানা ছুতোয় তিনি কাজ বাতিল করে দেন। শামীম আখতার আসার পর টানা ৩ বছর ন্যাশনাল ডেভেলপ ইঞ্জিনিয়ার্স (ঘউঊ) লিঃ (বর্তমানে ফার্মটি এন,ডি,ই ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিঃ এবং ইউ,সি, সি দুইটি সিস্টার কন্সার্নে ভাগ হয়ে পরিচালিত হচ্ছে) ব্যতীত কোন ঠিকাদার কোন কাজ পায়নি।

শামীম আখাতার, আওয়ামী ফ্যসিবাদের অন্যতম দোসর তিন বার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওইয়া সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার এর সাথে মিলে সন্ত্রাসী লীগ লালন করতেন। শহীদুল্লাহ্র প্রেস্কিপশনে সচিবালয়, সংসদ ভবন, মন্ত্রী পাড়া, গণ ভবন, সংসদ ভবন, বঙ্গ ভবন সব জায়গায় আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে বিপুল জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এই আউট সোর্সিং এ সাবেক এই পূর্ত সচিবের একছত্র আধিপত্য ছিল। পূর্ত মন্ত্রনালয় থেকে যাবার পর, শহীদুল্লাহ খন্দকার সদ্য উৎখাত হওয়া প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে গোপালগঞ্জের উন্নয়ন কাজ দেকার জন্য ছুক্তি ভিত্তিক পদে নিযুক্ত ছিলেন। এই পুরোটা সময় তিনি সার্কেল ১ এর ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর এয়ার মার্ক করা বাসাটিতে থেকেছেন বাবুর্চি, মালি, দারোয়ান সহ সব সরকারি খরচে। শামীম -শহীদ গং গদগদ হয়ে শহীদুল্লাহ খন্দকারকে একটি স্পোর্টস পাজেরো গাড়ি সার্বক্ষনিক ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেন। শহীদুল্লাহ খন্দকার এর বেকার ছেলেকে পুনর্বাসনে সিটি ডিভিশনে কোটি কোটি টাকার বকেয়া করেন।

ফ্যাসিবাদের অথ্য সন্ত্রাসের সেল আর সাড়ে হাজার ভাগিনার টাকা পাচারের মেশিন সি আর আই এর সদস্যদের নামে বেনামে তিনি কোটি কোটি টাকার কাজ দিতেন। আই ইবি এর নেতা সবুর, ডলার, ডিউক, সাঈদ,অরুন সহ অন্যান্য মধ্যম ও নিচের সারির ছাত্র লীগ পুন্ররবাসন এর আখ্ড়া বানিয়ে ফেলেছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরকে। আই ইবি কনভেনশন এর সময় ব্যাপক চাদাবাজি করেছেন এবং নিজে ভোট ডাকাতি করে সেন্ট্রাল কাউন্সিল মেম্বার হয়েছেন। নিজের আত্মীয় ও পছন্দের অফিসারদের আত্মীয়দের মাধ্যমে সফট ওয়্যার কেনার নাম করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।

তিনি কবির চাচা খ্যাত শেখ কবিরকে এনে গণপুর্ত অধিদপ্তরে রাজনৈতিক সভা করতেন। রাজনৈতিক নেতার মতো ভাসনের শুরুতেই ১৫ আগস্টের নিহত (এই বাক শালীদের তিনি শহীদ বলতেন) দের স্মরনে লম্বা বয়ান দিতেন, এমনকি এই লেবাস ধারী বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও বলতেন না। তিনি শেখ হাসিনার বিভাগীয় সম্মেলন গুলোতে নিয়মিত টাকা দিতেন। এমন কি এই ২০২৪ এর ডামি নির্বাচনেও টাকা দিয়েছেন। এই ডামি নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি খুব আমেরিকা তথা পাশ্চাত্য বিদ্দেশী হয়ে ঊঠেন এবং প্রকাশ্য বকৃতায় বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী বিস্ব বরেন্য ব্যক্তিত্ব ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সম্পর্কে বিষোদ্গার করেছেন, কাঠাল রানীর সুরে সুর মিলিয়ে।

চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় সরকার যেখানে কৃচ্ছতা সাধনের নীতি গ্রহন করেছে, সেখানে তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পূর্ত ভবনে অপ্রয়োজনীয় ইন্টেরিয়র কাজের মহোৎসব করে চলেছেন। এখন আবার অডিটোরিয়াম সংস্কারের ফন্দি এটেছেন। মূলত ইন্টেরিয়র ফার্ম, ঠিকাদার, সাপ্লাইয়ার সবার সাথে তার মোটা অঙ্কের গোপন লেন্দেন রয়েছে। এভাবে তিনি নানা কৌশলে যে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এই কাজ গুলো তিনি করছেন তার পছন্দের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব এর মাধ্যমে। মাহাবুব যখন ডিভিশন ৪ এ ছিল তখন তিনি প্যারাডাইম আর্কিটেকচার এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স এর ফয়সালের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এই প্যারাডাইম ও কাঠাল রানীদের অন্যতম দোসর। এই ফার্মে সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার, গুলিস্তানে আওয়ামীলিগের অফিস ডিজাইন করা সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও শামীম আখতারের গোপন শেয়ার আছে। এছাড়া ইকবাল হাবীব ও দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমানের সাথে তিনি পুর্বাচল ও নীতি নির্ধারণী ফোরামে দেশের স্বার্থ বিরোধি অনেক গুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি দেশীয় গ্লাস কোম্পানি কে বাদ দিয়ে ভারতীয় গ্লাস কোম্পানি সেইণ্ট গোবিন্দ কে এক চেটিয়া প্রোমোট করেছেন। তার আত্মীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানাকে দিয়ে তিনি এই কাজ টি করাতেন।

তিনি ও মাহাবুব ঢাকা ডিভিশন ৪ এ , সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউছার মোল্লা এর ভাগিনা হাসান মোল্লাকে ইচ্ছা মতো ফ্যাসিবাদ কায়েমের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তখন ৪ নম্বর ডিভিশনে সব কাহ হাসান মোল্লা পেতেন। হাসান মোল্লার ‘মা বাবা কন্সট্রাকশন ‘ এর মাধ্যমে তিনি আওয়ামী ক্যাডার বাহিনীকে পুষতেন। সেখানে তিনটি রুম দখল করে অবৈধ অস্ত্রের গোডাউন বানিয়েছিলেন। এই গোডাউনেই ছিল শামীম আখতারের আয়না ঘর আর তার সিপাহ সালার ছিলেন হাসান মোল্লাহ। এই হাসান মোল্লাহ ছাত্র জনতার বিপ্লবে নিরিহ ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর প্রমান থাকায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া মহিলা লীগের নেত্রী রোজি, আসমা, শোভা, ফাতেমা জলিল সাথী, রোজিনা রোজি, শামীমা এরা সারা ক্ষন তাদের চিফ ভাইয়ের নিকট বসে থাকতেন।
পীর সাহেব ইত্তেকাফে বসেন আবার নারায়ন গঞ্জের ভূইগড়ে ক্যালিগুলার সেই রাজার মতো মুরীদ দের সাথে সঙ্গমও করেন। প্রত্যক্ষ দর্শীরা বলেছেন তিনি নাকি নারী, পুরুষ তৃতীয় লিংগ সবার সাথেই করেন। বিশেষ করে তৃতীয় লিঙ্গ নাকি তার বিশেষ পছন্দ।

সেগুন বাগিচার কমিশনার ফরিদ উদ্দিন রতন কে তিনি অস্বাভাবিক সুযোগ দিতেন। তাকে মেরামত ও উন্নয়ন খাত থেকে কয়েকশত কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। বিরোধী দলের সভা সমাবেশের দিনে ফ্যাসি বাদী আওয়ামীলীগের পাল্টা কর্মসুচি হিসাবে অথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে যে সন্ত্রাস চলত সেখানে রতন কমিশনার কে তিনি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করতেন। বিশেষত এসব সভার আগের রাতে আওয়ামী গুন্ডা বাহিনীর জন্য বিশাল ডেকচিতে খিচুরি রান্না হতো প্রধানপ্রকৌশলীর কার্লয়ের ভিতরে। ২৮ অক্টোবর ২০২৩ এ এরকম এক রান্নার আয়োজন সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। এমন কি জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের সময়ও শামীম আখতার রতন কমিশনার যৌথ প্রযোজনায় গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধে ও মানুষ হত্যায় অর্থায়ন করেছেন। তাই ফ্যসিবাদের পতনের পর তিনি ও তার সহযোগীরা ৩/৪ দিন অফিসে না এসে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
এখন রাতা রাতি ভোল পাল্টাতে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। তিনি নাকি উপদেষ্টার পি এস কে মোটা অঙ্কের উপহার দিয়ে মেনেজ কেরে ফেলেছেন। দুই উপদেষ্টা তার ক্যাডেট কলেজের অগ্রজ এসব বলে প্রতিদ্বন্দীদের স্নায়ু চাপে রাখতে চাইছেন। আবার জিয়ার মাজারে ফুল দিয়েছেন, মির্জা ফখ্রুলের সাথেও নাকি দেখা করেছেন। তার হাতে স্বাধীনতা কামী নিরীহ ছাত্র জনতার রক্তের দাগ লেগে আছে। বহু আগেই তিনি কোন পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসা বাদ করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

আসলে খুনি হাসিনা ভারতের হাতে দেশকে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা থেকে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই প্রক্রিয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরেও পচন ধরে গিয়েছিল। ফ্যাসিবাদি প্রেতাত্মা শামীমকে সরাতে গেলে তাই বিকল্প খুজে পাওয়া যায় না। এ যেন লোম বাছলে কম্বল থাকবেনা অবস্থা। কিন্তু দেশের প্রকৌশল ক্ষেত্রের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্টানটিতে এই নৈরাজ্য চলতে পারেনা। এখনো অনেক দক্ষ, মেধাবী, সৎ ও দেশ প্রেমিক প্রকৌশলী এই অধিদপ্তরে রয়েছেন। দেশের টেকশই উন্নয়নে চাই এই সংস্থার হাল ধারার মতো যোগ্য নাবিক। সেনা বাহীনির ইঞ্জিনিয়ারিং কোর থেকে একজন প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ দিলে গণপুর্ত অধিদপ্তর সঠিক পথে চলবে বলে মনে করা হয়। শামীম আখতারকে হটিয়ে অচিরেই একজন সেনা কর্মকর্তা কে প্রধান প্রকৌশলী করে অচিরেই এই অধিদপ্তরকে ফ্যাসিবাদের রাহু মুক্ত করুন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর