কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের আড়াই কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ।

সময়: 6:42 am - November 4, 2024 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলায় গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন সংস্কার কর্মসূচি প্রকল্পের গত এক অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত চার কোটির টাকার মধ্যে আড়াই কোটি টাকা লোপাট করার ঘটনা ঘটেছে। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলার বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আই ও) ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্ধকৃত এই টাকা মিলে মিশে লোপাট করার ঘটনা ঘটেছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) চাল ও গম কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) টেস্ট রিলিপ (টিআর) ও নগদ টাকা লোপাট করা হয়েছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের উপজেলা প্রকল্প কার্যালয়ে এমন পুকুর চুরির তথ্য মিলেছে দৈনিক মানব কথা এর অনুসন্ধানে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান কাগজে কলমে প্রকল্প দেখিয়ে ধাপে ধাপে বরাদ্ধকৃত নগদ টাকা ও চাল, গম গোপনে আত্মসাত করেছে।

জানা যায়, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের ২৪ শে জুন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) এর মাধ্যমে পিআইও অফিসে ২৭ ধাপে পিআর কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বিপুল পরিমান নগদ টাকা চাল গম বরাদ্ধ দেওয়া হয়। প্রাপ্ত বরাদ্ধ উপজেলা উন্নয়ন কাজে খরচ না করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ভাগ্যান্নয়নে খরচ করা হয়। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীন রাস্তাঘাট জনসাধারনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পড়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। এসব রাস্তাঘাটা উন্নয়নের নামে বরাদ্ধ দেয়া হলেও কাজ করা হয়নি।

প্রকল্পের টাকা আত্মসাত দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে দুর্যোগ বাবস্থাপনা অধিদপ্তরে পরিচালক (কবিখা-৩) মোঃ কামাল হোসেন মানব কথা কে বলেন এসব বিষয় তদারকীর দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা ত্রান কর্মকর্তা ও জেলা প্রসাশক।

বিগত অর্থবছরে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সব

প্রকল্পের তালিকা তথ্য অধিকার আইনের নীতিমালা মেনে ইউএনওর কাছে আসলে পিআইও স্বাক্ষরিত ১১ ফর্দের একটি তালিকা সরবরাহ করা হয়। অনুসন্ধানে তালিকার সঙ্গে বাস্তবের বরাদ্ধের ব্যাপক অমিল পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তালিকায় ১ কোটি ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫ শত ৯১ নগদ টাকা ও ৬৩ টন খাদ্য শস্যের বিপরীতে প্রকল্প দেখানো হয় ৭৮টি। সূত্র মতে বিভিন্ন ধাপে বরাদ্ধ দেয়া হয় ৩০৩টি প্রকল্প। এর বিপরীতে ১৮৩ টন খাদ্য শস্য, যার প্রকৃত বাজার মূল্য ৯১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও নগদ ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। এসব বরাদ্ধের তথ্য গোপন করে নাম সর্বস্ব প্রকল্প কমিটি করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে নেন পি আই ও মেশকাতুর রহমান।

প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, তথ্য গোপন করার দায় স্বীকার করে সদ্য সাবেক ইউএনও বলেন, উপজেলার সব মন্ত্রনালয়ের দপ্তরের বরাদ্ধ ইউএনওর বরাবর আসে। কিন্তু প্রাপ্ত বরাদ্ধ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানের দায়িত্বে প্রকল্প গ্রহন, বাস্তবায়ন ও টাকা খরচ করা হয়। কেউ তথ্য চাইলে তা বিধি মোতাবেক দেয়া আমার দায়িত্ব। যদি কেউ তথ্য গোপন করে সেটা অপরাধ। তবে গত অর্থবছরের শেষের দিকে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা মন্ত্রানালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এসব অনিয়মের ঘটনা স্বীকার করে পিআইও মেশকাতুর রহমান নবচেতনাকে বলেন, চাহিদামতো সব তথ্য দেয়া হয়েছে কোনো তথ্য গোপন করা হয়নি। সব পিআইও অফিসে কিছু না কিছু অনিয়ম হয়েই থাকে। চেয়ারম্যানরাও সঠিক দায়িত্ব পালন করেন না।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর