চাটখিলে বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, যুবলীগ নেতা কারাগারে

মানব কথা: ‘আমি শেখ মুজিবের সৈনিক। তোরে মেরে ফেলবো। আমার (অস্ত্র) চালানোরও ট্রেনিং আছে। তোরে খেয়ে ফেলবো। প্রশাসন এখন তোর পক্ষ তো! প্রশাসন ঘুরতে সময় লাগবে না। আমি তোরে খেয়ে ফেলবো।’ বিএনপির এক নেতাকে প্রকাশ্যে এসব হুমকি দিয়ে কারগারে গেলেন নোয়াখালীর চাটখিলের এক যুবলীগ নেতা। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাটখিল বাজারে রমজানের বেচা কেনার সুবিধার্থে বণিক সমিতির উদ্যোগে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে চাটখিল বাজারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে থানা পুলিশ আনসার ও বাজারের নাইটগার্ড দিয়ে রাস্তা ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
গতকাল ইউসুফ চাটখিল দারোগা বাজার রোডে পুলিশ ও আনসার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উল্টা পথে বাজারে ঢোকার চেষ্টা করিলে দায়িত্ব থাকা পুলিশ সহ তাকে বাধা প্রদান করেন । যুবলীগ নেতা ইউসুফ ক্ষিপ্ত হইয়া তার হোন্ডা মেইন রোডে আড়া আড়ি করে রেখে পুরা বাজারে যানজটের সৃষ্টি করে এবং অকথ্য ভাষায় বাজার কমিটিকে গালমন্দ করতে থাকে সে কাউকে তোয়াকা না করে পুরা রাস্তা বন্ধ করে রাখে এক পর্যায়ে চাটখিল পৌরসভা বিএনপি’র নেতা বি কে হানিফ তাকে অনুরোধ করে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার জন্য এতে যুবলীগ নেতা ইউসুফ ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফকে হত্যার হুমকি দেয় প্রকাশ্য জনগণের সামনে এতে দুজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয় সেই সময় বি কে হানিফ চাটখিল থানায় ফোন দিলে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ এসে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ তপাদার (৪০) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়
যুবলীগ নেতা ইউসুফ ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কারীদের বিরুদ্ধে পোস্ট করে। এছাড়াও প্রফেসার ইউনুস সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফেইস-বুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রোপাগান্ড ছড়ায়। এছাড়াও চাটখিল পৌরসভার ও বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা সংবাদ কর্মীদের কে জানান যুবলীগ নেতা ইউসুফ বাজারে বিভিন্ন দোকানে মালামাল ক্রয় টাকা চাইলে ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করিতো অটো রিক্সা চালকদের সাথে গালমন্দ করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতে এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীদের এবং ডাক্তার নার্সদের সাথে ও অসৌজন্য মূলক আচরণ করে ইউসুফের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একপর্যায়ে তার উশৃঙ্খল আচরণ দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে বেয়াদপির কারণে নিজ দলের কিছু কর্মীদের হাতে হয় গুলিবৃদ্ধ হয়।
বিএনপি নেতা বি.কে হানিফ বলেন, ‘এই ইউসুফ তরফদার সব সময় নেশা আসক্ত থাকতো গতকাল সে আমারে বলে গুলি করে মেরে ফেলবে। আমি নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে থানায় অভিযোগ করেছি। আশাকরি আমি সুবিচার পাবো।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে আটক করা হয়েছে। এরপর আসামিকে আদালতের প্রেরণ করা হয়।’