ফ্যাসিবাদের দোসর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির এখনও ঢাকায় বহাল তবিয়তে

সময়: 1:15 pm - April 21, 2025 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা রক্ষণাবেক্ষন গণপূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির ফ্যাসিবাদের দোসর এখনও টেন্ডার বানিজ্য করে ঢাকায় বহাল তবিয়তে।

ঢাকা রক্ষণাবেক্ষণ গণপূর্ত বিভাগের চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করেন। যার আইডি নাম্বার গুলি Id.no.1060689 Id.no.1070546 Id.no.1066594 Id.no.1067724 Id.no.1066602 Id.no.1067721 Id.no.1070543 Id.no.1070545 Id.no.1067727 Id.no.1067726 Id.no.1067725 Id.no.1067723 Id.no.1070540 Id.no.1070548 Id.no.1066589 Id.no.1058078 Id.no.1045543 Id.no.1045550 Id.no.1058499 Id.no.1058500 Id.no.1058081 Id.no.1058084 Id.no.1060084 Id.no.1045515 Id.no.1045518 Id.no.1045521 Id.no.1045522 Id.no.1045523 Id.no.1045525 Id.no.1045526 Id.no.1045527 Id.no.1045531 Id.no.1045541 Id.no.1045546 Id.no.1060077 Id.no.1058124 Id.no.1043352 Id.no.1043361 Id.no.1043367 Id.no.1043373 Id.no.1043410 Id.no.1043414 Id.no.1043515 Id.no.1043417 Id.no.1043418 Id.no.1043419 Id.no.1043420 Id.no.1043421 Id.no.1043422 Id.no.1043424 Id.no.1043426 Id.no.1043427 Id.no.1043429 Id.no.1043430 Id.no.1043531 Id.no.1043432 Id.no.1043433 Id.no.1043434 Id.no.1043435 Id.no.1043438 Id.no.1043440 Id.no.1043441 Id.no.1043443 পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য উপরোক্ত ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আইডি তে দরপত্র আহবান করে টেন্ডার বানিজ্য মহাউৎসব করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন কায়সার কবির। ঢাকা রক্ষণাবেক্ষণ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির আওয়ামী ফ্যাসীবাদের বিশেষ বিসিএস ৩২ এর একজন সদস্য। সবাই জানে ভারতীয় আধিপত্যবাদ কায়েমে পেশাজীবিদের মধ্যে ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডাদের ঢুকিয়ে দিতে প্রতিবেশী দেশের পেসক্রিপশনে এই ৩২ বিসিএস এর নিয়োগ দেন। ওই দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একেবারে ছেকে নেয়া প্রতিনিধি হিসেবে কায়সার কবির চাকুরি জীবনের শুরু থেকেই ভালো ভালো পোস্টিং পেয়েছেন। সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি তালিম নিয়েছেন সাভার সার্কেলের তৎকালীন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল কাদের চৌধুরীর কাছে। আব্দুল কাদের চৌধুরী আত্ম স্বীকৃত আওয়ামী দূর্বৃত্ত। যিনি কেসিনো কান্ডে জিকে শামীমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ও টেন্ডার বানিজ্য সহ পেশা গত অসদাচরনের দায়ে পদাবনতি পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যেতে বাধ্য হন। এই আব্দুল কাদের চৌধুরী দিনে দুপুরে “কল রেডি “ কম্পানির মাইক এনে যার তার বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতেন। এই কাজে তার দোসর ছিলেন কায়সার কবির।
সময়ের পরিক্রমায় তিনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে জামালপুর বদলী হয়ে যান। সেখানে তিনি আওয়ামীলীগ নেতা মির্জা আজম এমপি এর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। মির্জা আজমের ভাই এর সাথে ঠিকাদারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করতেন। তার সময়ে তিনি সকল নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঠুটো জগন্নাথ বানিয়ে রেখেছিলেন। জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীদের ইজিপি পাসওয়ার্ড আবশ্যক ভাবে তার কাছে রাখতে হতো। এসময় কায়সার কবির ইজিপি ও পিপি আর এর নিয়ম নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে দূর্ণীতি করেন। মির্জা আজমের কাছে তিনি অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার তালিম নেন। সেখানে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ ভারতীয় অর্থায়নে শুরু হয়, যার দরপত্রের নিয়ন্ত্রন রাখতে সেখানে কায়সার কবির অপরিহার্য ছিলেন।
এর পর তিনি ঢাকায় বদলী হয়ে ছলে আসেন এবং কয়েকটি সাব ডিভিশনে দূর্ণীতি করে সেই টাকা দিয়ে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগে পোস্টিং করিয়ে নেন। আজিম্পুরের ততকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ নিজেও একজন ফ্যাসিবাদের ধারক বাহক বিধায় দুজনে বেশ জমে। গুরু শিশ্য মিলে পুকুর চুরি করে বেশ মজায়ই ছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে (চলতি দ্বায়িত্ব) পদোন্নতি পেলে ইলিয়াসই তাকে একটি ভালো পোস্টিং করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেন। সে মোতাবেক পাবনা জেলার একটি বিশেষ লিঙ্ক ব্যবহার করে সাজিন কন্সট্রাকশন লিঃ এর কর্ণধারের মাধ্যমে বিরাট উৎকোচের বিনিময়ে রক্ষণাবেক্ষণ গণপূর্ত বিভাগে পোস্টিং পান। একই কায়দায় ইলিয়াস নিজে সার্কেল ১ এ, মাহাবুব কে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সিটি ডিভিশনে পোস্টিং করিয়েছেন। তাই এই ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট ছিল খুব আত্ম বিস্বাসী।
দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হওয়ায় তিনি ফ্যাসিবাদি সরকারের সাবেক মন্ত্রী,ভারতীয় দালাল র, ম, আ, ওবায়দুল মুক্তাদিরের প্রভাব খাটিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর এর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেন। রক্ষণাবেক্ষন গণপূর্ত বিভাগে থাকা কালে তিনি গুলশানে শেখ রেহানার বাড়ি দেখেন বিধায় শেখ পরিবারের অন্দরমহলে যাতায়াত ছিলো। তাছাড়া দুদক প্রধান কার্যালয় ছিলো বিধায় সেখানে একটি সিণ্ডিকেট গড়ে তোলেন। একই ভাবে এন এস আই এর কার্যালয় তার জুরিসডিক্সনে হওয়ায় তিনি সেখানেও সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরিত্যক্ত সম্পত্তি তার আওতায় থাকায় তিনি একটি আওয়ামী ভূমি দস্যু ও জালিয়াত চক্রের সাথে মিলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি রাজস্ব বাজেটের আওতায় মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন কাজে(যা সাধারন ভাবে এপিপি নামে পরিচিত) মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ভেঙ্গে এলটি এম এর পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে করেছেন। তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আলম এর আত্মীয় বিধায় তাকে এ বিষয়ে দ্বায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। এপিপি বহির্ভুত ভাবে বকেয়া টেন্ডার করে নিয়ম ভেঙ্গেছেন যার অনুমোদনের দায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আলম এড়াতে পারেন না। তিনি সাবেক মন্ত্রী র, ম, আ, ওবায়দুল মুক্তাদিরের ক্যাশিয়ার খ্যাত মুসা ( মোবাইল নম্বরঃ ০১৯৭৭৩০৬৭৪০) এর সাথে মিলে বদলী বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করতেন। মুসার সাথে আন্তজেলা ভ্রমন করতেন। শহীদের নির্দেশে তিনি শেখ কামালের জন্মদিন সহ আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মসূচিতে নগদ অর্থ দিয়েছেন। জুলাই -আগস্ট ২০২৪ এর বিপ্লবে তিনি ছাত্র জনতা হত্যায় প্রত্যক্ষ অর্থায়ন করেছেন। এই ফ্যাসিবাদের দোসর রা কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও দাপিয়ে বেড়িয়ে টেন্ডার বানিজ্য মহাউৎসব করছেন সেটাই আমাদের প্রশ্ন। এ বিষয় নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার কবির বলেন ভূল ও সর্বময় মিথ্যা তথ্য সম্বলিত এবং মানহানিকর উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিন্তু ওটিএম টেন্ডার আইডির বিষয় বললে এড়িয়ে যান ও বলেন চেক করে বলা যাবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর