ঢাকা কাস্টমসের পিয়ন থেকে শাহাদাত হোসেনের কোটি টাকার সম্পদ : দুর্নীতিকে আড়াল করতে ক্ষমতার অপব্যবহার

মানব কথা: ঢাকা কাস্টমস হাউসের মোঃ শাহাদাত হোসেন আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়ে পিয়ন থেকে দশ তলা বাড়ি গাড়ি সহ নামে বেনামে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
মোঃ শাহাদত হোসেন ঢাকা কাস্টমস্ হাউসের সামন্য কর্মচারী এনবিআর পিয়ন থেকে চাকরী জীবন শুরু করে বিভিন্ন সময় পদোন্নতি প্রধান সহকারী হয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে যাত্রাবাড়িতে ১০ শতক জায়গায় ১০ তলা বাড়ি। কোটি টাকার প্রাইভেট কার। ছেলে মেয়ের নামে বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলছেন ও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন। যেখানে সাধারন কর্মচারীরা ঢাকা শহরে ঠিকমত চলতে পারেন না, তিনি সেখানে আলাউদ্দীনের চেরাগ পেয়ে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন। মোঃ শাহাদত হোসেন সম্পদের উসৎ বের করতে প্রতিবেদকে কাছে তার ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র সামনে আসে শাহাদাত ২০২০ সালে বিচার শাখায় পদস্থ থাকাকালে স্বর্ন চোরাচালানের যুক্ত হয়ে ও যাত্রীদের অবৈধ সুবিধা দেবার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেন। পরবর্তীতে তার দুর্নীতির বিষয়টা তৎকালীন কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন জানতে পারলে ছয় মাসের মাথায় তাকে ওএসডি করেন এবং সদর দপ্তরে পোষ্টিং করেন। শাহাদত এতই তদবির যে পরবর্তীতে তাকে আবার লাইসেন্স শাখায় পোষ্টিং দিলে আবার দুর্নীতি শুরু করেন। অনেক ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে লাইসেন্স দেয় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তাকে আবার সদর দপ্তরে পোস্টিং করা হয়। এরপরও শাহদত থেমে থাকিনি আবারও তদবির করে এয়ারপোর্টে পোষ্টিং করা হলে সেখানে সে বি আর চালান বা গোল্ড ট্যাক্স চালানের পুরানো চক্রের সাথে মিসে যায়। তাজ উদ্দিন ছিল গোল্ড চালান বিনষ্টের মূল হোতা । শাহাদাত-তাজউদ্দিন মিলে কোটি কোটি টাকার বিআর চালান বিনষ্ট করে ব্যাংকের সহযোগিতায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়,যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় শত কোটি টাকা।
ঢাকা কাস্টমস ম্যানিস্ট্রয়াল এসোসিয়েশন এবং বাকাএম এর সভাপতি ও সহ সভাপতি হয়ে সর্বদা অফিসার দের নিকট থেকে ভালো পোষ্টিং হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও বর্তমানে নিলাম শাখায় পদস্থ থাকার সুবাদে নিলাম পাইয়ে দেবার কথা বলে কোটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।