ফ্যাসিবাদের দোসর কেরানীগঞ্জ জেলখানার গেট ভেঙ্গে পড়ার সময় দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী উজির আলি এখনও টেন্ডার বানিজ্য চালিয়ে ঢাকায় বহাল

মানব কথা ডেস্ক:ঢাকা গণপূর্ত রক্ষনাবেক্ষন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ উজির উজির আলি ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর তিনি বিগত ১৭ বছরে মধ্যে ঢাকার বাহিরে চাকরি করেননি বললেই চলে নির্বাহী প্রকৌশলী পদ হতে পদোন্নতি পেয়ে চার মাস চট্টগ্রাম সার্কেল দায়িত্ব পালন করেন তারপর প্রাইজ পোষ্টিং বাগিয়ে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল -৪ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদ বাগাতে সক্ষম হন।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ঢাকা গণপূর্ত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগে শতকরা ৮০% এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানের অনুমতি ও TEC অনুমোদন করছেন এছাড়াও চট্টগ্রাম গণপূর্ত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগে বেশ কয়েকটি কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানের অনুমতি ও TEC অনুমোদন দিয়েছেন যা কখনও ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান হয় নি মোঃ উজির আলি মোটা কমিশনের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান খেলায় মেতেছেন কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। কারণ গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল বড় প্রকল্পের কাজ ও বদলী বানিজ্যের কমিশন ছোট আপাখ্যাত শেখ রেহানা কে পৌউছে দিতেন মোঃ উজির আলি। ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-৪ দায়িত্ব নিয়োজিত থাকাকলীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হওয়ার সুবাদে টেন্ডার বানিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আজিমপুর কলোনির বিশ তলা ভবন নির্মান প্রকল্পের ২টি ভবন নির্মানের কাজ দেন কুশলী নির্মাতা ৩ টি ভবন নির্মানের কাজ দেন মাসুদ এন্ড কোং ও ৪ টি ভবন নির্মাণের কাজ হাসান এন্ড সন্স তার অন্যতম সহযোগী তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব থাকা মোঃ ইলিয়াস আহমেদ দুইজনে মিলে হাজার কোটি টাকার কাজ দিয়ে শত কোটি টাকার কমিশন বানিজ্য হাতের মুঠে নেন গোটা অধিদপ্তরের টেন্ডার সিন্ডিকেট । মোঃ উজির আলি ঢ ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব থাকাকলীন কেরানাীগঞ্জ জেলখানার গেট ভেঙ্গে পড়ে যা সারা বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম নামমাত্র একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের দায় মুক্তি দেন পরবর্তীতে তাকে ঢাকা গণপূর্ত জরিপ গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হলে তিনি ফ্যাসিবাদ সরকারের মন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম কে ম্যানেজ করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর ৪৫০ কোটি টাকার RAB প্রকল্প জরিপ গণপূর্ত বিভাগে বাগিয়ে নিয়ে যান তথন জরিপ গণপূর্ত বিভাগ হয়ে উঠেন ঢাকার দামী ডিভিশন কারণ উজির আলি জরিপ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব নিয়োজিত হন তাই কাজ বাগিয়ে নেন। মোঃ উজির আলি ঘুরে ফিরে ঢাকার ওয়াকিং ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকেন তার সখ্যতা ছিল ছোট আপা খ্যাত শেখ রেহানার এজন্য তাকে ঢাকার বাহিরে কখনও যেতে হয়নি যত অনিয়ম ও দুর্নীতির করুক এমনকি কেরানীগঞ্জ জেলখানার গেট ভেঙ্গে পড়ে যাক তাতে তার কিছুই করা যায় নি। মোঃ উজির আলি ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকলীন সময় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে মোটা কমিশন নিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মোঃ উজির আলি ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর সেগুন বাগিচার ২০ নং ওর্য়াড কমিশনার রতন কে পাচ কোটি কাজ দেন গণপুর্ত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ হতে যে অর্থ সরাসরি ছাত্র ও জনতা হত্যা কাজে লাগিয়েছেন। মোঃ উজির আলি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঢাকা গণপূর্ত রক্ষনাবেক্ষন বিভাগে ১০০% বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করার অনুমোদন দিয়ে মোটা কমিশন নেন আওয়ামীলীগ পন্থি ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার সুযোগ করে দেন। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেও তিনি এখনও ঢাকা গণপূর্ত রক্ষনাবেক্ষন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে মোঃ উজির আলি এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতার কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। মোঃ উজির আলি নামে বেনামে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তার রয়েছেন উত্তরা ১২ সেক্টরে ৬ তলা একটি বাড়ি, ঢাকার বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার ডি ব্লক একটি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডি ষ্টার কাবাব গলিতে একটি ২০০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট ও গাজীপুরে ৫ একর জায়গা ক্রয় করে রেখেছেন তার স্ত্রীর নামে এছাড়া নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকা।