দেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগই কর্মক্ষম

সময়: 1:42 pm - July 7, 2025 |

মানব কথা: বাংলাদেশেল জনসংখ্যার বেশিরভাগই কর্মক্ষম বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। ইউএনএফপিএ’র বার্ষিক প্রধান প্রতিবেদন ‘বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থা (SWOP) ২০২৫’-এ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের জাতিসংঘ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএফপিএর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথেরিন ব্রিন কামকং আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাথেরিন ব্রিন কামকং বলেন, ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২০ কোটিতে, যার মধ্যে বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৫৭ লাখ বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর অর্ধেক নারী এবং দুই-তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ সাড়ে ১১ কোটি মানুষ কর্মক্ষম বয়সে (১৫-৬৪ বছর)। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসংখ্যাগত সুযোগ, যা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ) ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সে উপনীত হয়েছেন, যা দেশের জনসংখ্যা বার্ধক্যের পর্যায়ে প্রবেশের সূচক।

ক্যাথেরিন বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ কিশোর-কিশোরী (প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ)। যাদের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছর। আর বৃহত্তর যুব জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৮ শতাংশ (প্রায় ৫ কোটি)।

২০২৫ সালের বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থার প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য- ‘আসল প্রজনন সংকট : পরিবর্তনশীল বিশ্বের প্রজনন অধিকার অর্জনের প্রয়াস’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বার্তা প্রচলিত ‘অতিরিক্ত জন্ম’ বা ‘কম জন্ম’ সংক্রান্ত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। তার মতে, প্রকৃত সংকট সংখ্যা নিয়ে নয়, বরং এটি প্রজনন অধিকার ও ক্ষমতা নিয়ে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে, এমনকি বাংলাদেশেও বিশেষ করে নারী ও তরুণরা প্রজনন সংক্রান্ত নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে পদ্ধতিগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে তারা তাদের প্রজনন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারছেন না।

তিনি আরও জানান, এই প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের পরিচালিত একটি বৈশ্বিক জরিপের ভিত্তিতে তৈরি। এতে একাডেমিক গবেষণা ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে এটি প্রজনন ক্ষমতা ও অধিকার নিয়ে একটি বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।

তথ্যসূত্র : ইউএনবি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর