ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর গণপূর্ত প্রকোশলী মানিক লাল দাস নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে বহাল তবিয়তে

মানব কথা ডেস্ক:
ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় মানিক লাল সর্ব প্রথম যশোর গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করেন ওখানে তিনি গোটা সার্কেলে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভুত ভাবে সময় বর্ধন অনুমতি দিয়েছেন যেটা দিতে পারবেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী করবেন অনুমোদন সেটা নিজেই অনুমোদন দিয়েছেন। ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিস, কুষ্টিয়া সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ স্মৃথি মিউজিয়াম, মাগুরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মান প্রকল্প ও শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি সম্প্রসারিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের এছাড়া যশোর সার্কেলের সকল ডিভিশনের নিয়ম বহির্ভূতভাবে সময় বর্ধন, ভেরিয়েশন ও প্রাক্কলন অনুমোদন দিয়েছেন। মানিক লাল দাস থাকা কালীন ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের হাসপাতাল ভবনের পোর্চ ভেঙ্গে মানুষ মারা যায় সেখানে কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম শফিউল হান্নান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোতালেব ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ সাময়িক বরখাস্ত হলেও প্রধান সুপারভাইজার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মানিক লাল দাস ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর হওয়ায় ও র এজেন্ট এবং ইসকনের সদস্য হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যান। মানিক লাল দাস এর বিষয় হাসিনা সরকারের আমলে দৈনিক সমকাল ও ভোরের কাগজ সহ অনেক পত্রিকায় লেখালেখি হলেও তিনি এতই ক্ষমাধর ছিলেন যে তাকে কিছুই করা সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের স্নেহ ভাজন ছিলেন সেজন্য তিনি ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ -১ পরে ঢাকা না চাইলে পারার দরুন দির্ঘ দিন ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরে পদোন্নতি পেয়ে যশোর গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হন। যশোর গণপূর্ত সার্কেলের আওতাধীন ঝিনাইদহ, মেহেরপুর , যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল ও মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের ৮০% ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান অনুমতি দিয়ে তিনি কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। মাফিয়াখ্যাত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মানিক লাল দাস ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলা গণপূর্ত বিভাগের ৮০% ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানের অনুমতি প্রদান করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে মানিক লাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বরাবর তথ্য চাইলে দুই মাস অতিবাহিত হলেও তিনি কোন তথ্য দেননি। চারজন সাংবাদিক তথ্য চান মানিক লাল দাস এতই বেপোরোয়া যে অনিয়ম ঢাকতে কাউকেই কোন তথ্য দেননি।