নারী কেলেংকারী নিয়ে সর্বদা আলোচনায় শফিউল হান্নান
নিজস্ব প্রতিবদেক: ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ভবনের পোর্চ ভেঙ্গে পড়ার সময় কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা আলোচিত প্রকৌশলী শফিউল হান্নান পিডব্লিউডি টেনিং একাডেমির পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই শফিউল হান্নান কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন তার বাসভবনে চলত নাচ, গান, মদের আসর ও মেয়ে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত প্রতিদিন যা এই সময়ে এই নিয়ে অনেক স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পোর্চ ভেঙ্গে যাওয়ার পর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হওয়ার প্রমানিত হওয়ায় শফিউল হান্নান সাময়িক বরখাস্ত করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে শফিউল হান্নান ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর হওয়ায় ও দির্ঘ ১৬ বছর যাবৎ ফ্যাসিবাদ সরকারের মন্ত্রী ও সচিবদের গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল প্রোগ্রামের অনুষ্ঠান সঞ্চাচলনার দায়িত্ব পালন করায় দশ মাসের মাথায় এত প্রকল্পে একজন মানুষের প্রানহানির পরও বেতন স্কেল একধাপ নিচে নামিয়ে নাম মাত্র শাস্তি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার করেন। এর পর শফিউল হান্নানের পছন্দের ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম দোসর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হন মোঃ আশরাফুল আলম তখন শফিউল হান্নান কে প্রাইজ পোষ্টিং দিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর ষ্টাফ অফিসার হিসেবে বসান। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলমের এক বছর বদলী বানিজ্য ও টেন্ডার বানিজ্য করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এই শফিউল হান্নান ঢাকার বাহিরে চাকরি করেছেন শুধুমাত্র একবার কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে সেখানেও তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনের পোর্চ ভেঙ্গে কুখ্যাত প্রকৌশলী হিসাবে আখ্যায়িত হন। রাজউক অথরাইজড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন এখনও রাউজকের বিভিন্ন মামলায় দুদক ও আদালতে হাজিরা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশরাফুল আলম কে প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলে শফিউল হান্নান কে ভবনে একটি প্রকল্পের পিডি হিসেবে পদায়ন তবুও তিনি ঢাকার বাহিরে যায়নি। শফিউল হান্নানের বাড়ি বগুড়া হওয়ায় এখনও ভোল পাল্টিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে পিডব্লিউডি টেনিং একাডেমির পরিচালকের মত গুরুত্বপূর্ন বাগিয়ে নিয়েছেন। পিডব্লিউডি টেনিং একাডেমির পরিচালক হিসাবে শফিউল হান্নান দায়িত্ব পাওয়ার পর বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া আর কিছু না এখানেই শেষ নয় অভিযোগ পাওয়া গেছে শফিউল হান্নান টেনিং একাডেমির ভিতর গান বাজনা ও তার জলার্ক সংগঠনের অবৃত্তি নামে রংলীলা ও অশ্লীলতা কাজ করে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শফিউল হান্নান একজন শিল্পী হিসাবে গণপূর্ত অধিদপ্তরে পরিচিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ করার বিষয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকলের মুখে মুখে আলোচনা সমালোচনা সর্বত্র। এমনকি তেজগাঁও পিডব্লিউডি টেনিং একাডেমির সুমিং পুলে সর্বদা মেয়েদের আড্ডা, অশ্লীলতা ও গান বাজনা চলে। শফিউল হান্নান তার নিজ ফেসবুকে সর্বদা বিভিন্ন গানের প্রোগ্রাম ভিডিও লাইভ ও ভিডিও অপলোড করেন।
