ঋণখেলাপির দায়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

সময়: 1:50 pm - December 24, 2025 |

মানব কথা: ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার করা রিট আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট। এতে আসন্ন ত্রয়োদশ সং সদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়লেন তিনি।

হাই কোর্টের এ আদেশের ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না রিট করেছিলেন। শুনানি নিয়ে আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।

এখন তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না প্রশ্ন করা হলে ডিএজি শফিকুর বলেন, “সিআইবি রিপোর্ট থাকলে আইন অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারে না। তাই তিনি সিআইবি রিপোর্ট থেকে নাম স্থগিত করার আবেদন করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলেন। তার আবেদন তো খারিজ হয়েছে। এখন কীভাবে করবেন।”

তিনি বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিশোধও করেছিলেন। কিন্তু সিআইবি রিপোর্টে তার নাম থেকে যাওয়ায় তিনি রিট করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর মান্নার প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে নোটিস পাঠায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিসে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে বলা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী। এ প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ রয়েছে মান্নার, ২৫ শতাংশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর এবং বাকি ২৫ শতাংশ শাজাহান চৌধুরীর স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজুর।

ব্যাংকের নোটিসে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ করেনি। ফলে বকেয়া বেড়ে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়ায়।

সূত্র: বিডি নিউজ

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর