গণপূর্তের প্রকৌশলী সতীনাথ বসাকের কোটি-কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ
মানব কথা: ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২ এর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় টানা চার বছর একই কর্মস্থলে থেকে বড় কাজের দরপত্রে ব্যাপক টেন্ডার বানিজ্য ও সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, টানা ৩য় বার ২০১৮ সালে ফ্যাসিবাদ সরকার গঠন করার পর ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, সতীনাথ বসাক ২০২০ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হওয়ার পর খুলনা গণপূর্ত সার্কেল পদায়ন হওয়ার কিছু দিন পর ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর সতীনাথ বসাক ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২ পোষ্টিং বাগিয়ে নেন। আবু জাফর গিফার কলেজ মাঠে সরকারী কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট ভবন নির্মান প্রকল্পে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক মিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেশ উন্নয়ন লিঃ কে ভূয়া বিল ভাউচার করে কোটি কোটি টাকা পেমেন্ট দিয়ে ভাগবাটোরায়া করে নেন। যার কারণে উক্ত প্রকল্পে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী মিলে হরিলুট করায় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে যা পরবতির্তে আইএমইডি রিপোর্টে ধরা পড়ে যা দপ্তরের নথিপত্র যাচাই করে পাওয়া যায়। তাছাড়া ঐ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশল মাহবুব ঠিকাদারকে বিল দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সতীনাথ বসাক প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেন। এটা প্রকল্প পরিচালক হিসাবে তিনি তার দায় এড়াতে পারেন না। পূর্ত ভবনে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মেরামত কাজের নামে তিনি ও তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহাবুব মিলে কোটি কোটি টাকা ভূয়া বিল ভাউচার করে হাতিয়ে নেন যা নথি পত্র দেখলে প্রমান পাওয়া যাবে।
সতীনাথ বসাক টেন্ডার বানিজ্য করে হাইকোর্টের মাজার, মসজিদ ও বার কাউন্সিল ভবন কুশলী নির্মাতাকে দিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়ে খ্যান্ত হননি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মোটা কমিশনের বিনিময়ে ভেরিয়েশন দেওয়ার জন্য ভারতীয় আইটেম হ্যান্ডার ডগগøাস করতে বলে ভেরিয়েশন করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ কে ৯০% এপিপির কাজে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করার অনুমতি দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক শর্ত একটাই আমাকে ৫% কমিশন দিতে হবে। এজন্য গোটা অধিদপ্তরে সতীনাথ বসাক মিষ্টার ৫% হিসাবে পরিচিত। আওয়ামীলীগের পেশাজীবী সংগঠনের আইইবির বিনা ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পূর্নবাসন কেন্দ্র হিসাবে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-২ গড়ে তুলেন।
ছাত্র হত্যায় যে সকল নেতা অর্থ ব্যয় করেছেন সকল নেতা সতীনাথ বসাক গণপূর্তে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেন এতে করে ছাত্র হত্যার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল ৫০০ বেডে উন্নতি করন প্রকল্প টি বারো টা বাজিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ থেকে ১০% কমিশন নিয়ে সরকারী টাকা অপচয় করে ভেরিয়েশন করে দিয়েছেন। মুগদা মেডিকেল কলেজে চারটি দরপত্র দিয়েছেন পদ্মা, কুশলী নির্মাতা, এনডিই কাজ দিয়ে কোটি কোটি বাগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশ সচিবালয় ২০ তলা ভবন নির্মানে এনডিই ঘুরে ফিরে কাজ দিয়ে মোটা কমিশন নিয়েছেন।
এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক নামে বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকর সম্পদ করেছেন। ঢাকার ইস্কাটনে ২০০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার উত্তরায় ৯ নং সেক্টরে ২০০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও ঢাকার ১৪ নং সেক্টরে একটি ছয় তলা বাড়ি রয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় রিসোর্ট করার জন্য ৫ একর জমি কিনেছেন। সতীনাথ বসাকের টাঙ্গাইলে শশুর বাড়িতে শাশুড়ি, শালা ও ভায়রার নামে ভিগা পর ভিগা জমি কিনেছেন। কলকাতার সল্ট লেগের কাছে ১০ কাঠার জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছেন। ভারতের দক্ষিল দিল্লিতে ওনয়ডাতে বিলাস বহুল প্রেন্ট হাউজ ক্রয় করেছেন। হুন্ডি ব্যবসায়ী ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর মালিক দিলীপ আগারওয়াল এর সাথে তার সখ্যতা রয়েছে যার দরুন খুব সহযে শত শত কোটি টাকা তিনি ভারতে পাচার করেছেন। এ বিষয় সতীনাথ বসাককে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিপ করেন নি।