আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়মটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক সেখানে তার একটি অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছে। সেখানে তার কথাই নিয়ম তার কথার বাইরে কোন শিক্ষক কথা বলতে চাইলে শিক্ষকদের মাঝে একটি গ্রুপ অধ্যক্ষের সরাসরি ইন্দনে তাদের উপর চড়া হয় এমনটি অভিযোগ রয়েছে।
পাঁচ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পর ও সেখানে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছেন অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকক। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এলাকাবাসী এবং শিক্ষকদের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে কিন্তু ৫ আগস্টে পর বিএনপি’র দুই নেতা বাটন তালুকদার ও নাসিরের সহযোগিতায় ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সপদে বহাল থাকেন অধক্ষ্য আব্দুল মালেক।
আরো কিছু অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর। অভিযোগগুলো হল অধ্যক্ষ ডিগ্রী সেকশনের পাঁচ জন শিক্ষককে এমপি ভুক্ত করে দেওয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন এছাড়াও তিনি আরো ১২জন শিক্ষকের নিকট দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। এখনো তাদের কাছে আরো টাকা দাবি করছেন এমপিও করে দেওয়ার নাম করে শিক্ষকরা এ ব্যাপারে মুখ খুললেই তার বাহিনীর রসানলের শিকার হন।
বর্তমানে উক্ত কলেজের সভাপতি দায়িত্বে আছেন ব্যাটন তালুকদার তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ৫ ই আগস্ট পর সারা দেশে যেভাবে লুটপাট হয়েছে হত্যা হয়েছে আমার এখানে সেরকম কিছু হয় নাই তাকে প্রশ্ন করা হলে যে পাশে আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে যে সরকার গঠন হয়েছে সেটাকে লুটপাটের সরকার বলছেন আপনি তিনি বলেন আমি বিষয়টা এভাবে বলিনি।
কিন্তু এই ব্যাটন তালুকদার ও নাসিরের জোক সাজেশ এ ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রিন্সিপাল সপদে বহাল থাকে। প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেক কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো মিথ্যা কথা এবং তিনি বলেন আওয়ামী সরকারের সময় আমার কিছু করতে পারে নাই এখনো আমার কিছু করতে পারবে না আমি সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি।
তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসোভন আচরণ করেন। শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টা আমরা অবগত হয়েছি এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। উক্ত কলেজের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করলে শিক্ষকরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা বলেন আমরা এ বিষয়ে উক্ত প্রিন্সিপালের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে আপনারা যা কিছু দেখছেন এবং শুনছেন তা দিবালকের মত সত্য আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দিব। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে একই অভিযোগ পাওয়া যাওয়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারা বলেন আমাদের এলাকার প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার আলো জানিয়ে আমাদের অঞ্চলকে সুন্দর করতে সহযোগিতা করবে কিন্তু তার উল্টো হয়ে এখন অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে আমাদের উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার বদনাম চতুর দিকে চড়াচ্ছে আমরা থেকে পরিত্রান চাই।