কক্সবাজারের রামুতে কসাইয়ের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজার প্রতিনিধি: রামু উপজেলায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় আব্দুল গফুর (৪৫) নামে এক কসাইয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী হামিদ হোসেনের বাড়ির পিছনের উঠোন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে রামু থানা পুলিশ।
নিহত আব্দুল গফুর তুলাতলী গ্রামের মৃত জালাল আহমদের পুত্র। তিনি গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে কসাইয়ের কাজ করতেন।
নিহতের বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন জানান, নিহত আবদুল গফুর অনেক রাত করে বাড়িতে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরতেন, কিন্তু প্রায়ই বাড়ির লোকজন তা জানতো না। শুক্রবার রাতেও কখন ফিরেছে বা আদৌ ফিরেছিল কিনা জানে না পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠার আগেই আবদুল গফুরের মরদেহ পাশ্ববর্তী হামিদ হোসেনের উঠোনে পড়ে থাকার খবর পান পরিবারের সদস্যরা।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মুখমন্ডল রক্তাক্ত ছিলো। তবে শরীরের অন্য কোথাও দৃশ্যমান কোনো আঘাত ছিলো না।
পরিাবরের সদস্যরা জানিয়েছেন, আবদুল গফুর একটি করে গরু কিনে জবাই করে বাজারে বিক্রি করতেন৷ এ কারণে তার সাথে মোটা অংকের টাকা থাকতো। অন্যদিকে এলাকার কয়েকজনের সাথে নানা কারণে পূর্বশত্রুতাও ছিলো। টাকা লুট বা পূর্বশত্রুতা- এই দুই কারণে আবদুল গফুরকে হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শকে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছে।