`সংস্কারের জন্য সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে’
মানব কথা: সংস্কারের জন্য দেশের আইন এবং সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হাল নাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, “আপনারা দেখেছেন ১৫ টা রিফর্মস কমিশন হয়েছে। তার মানে কী বদলাতে হবে আমাদের। অতীতকে বদলায়ে উপযুক্তভাবে যাতে বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায়, সেভাবে যাতে সব কিছু পুনর্গঠিত হয়, সংস্কার হয় সে লক্ষ্যেই কিন্তু সরকার কর্তৃক ১৫টা সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে”।
নাসির উদ্দিন বলেন, সরকারি যে কোন ‘রিফর্মস’ করতে গেলে অনেক বিধি বিধান, আইন কানুন ‘অনেক জায়গায় হাত দিতে হয়, না হলে কোন জায়গায় আটকে থাকলে, আইন কানুনে আটকে থাকলে তো অনেক কাজ এগিয়ে নিতে পারবো না। সুতরাং এই রিফর্মস কমিশন যখন তাদের রিপোর্টগুলা দেবে, প্রপোজালগুলা যেগুলা গৃহীত হবে – সেগুলা একোমোডেট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে, আইন কানুনে হাত দিতে হবে, কন্সটিটিউশনে হাত দিতে হবে।
তিনি বলেন, সে লক্ষ্যে জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, কাজ করছি। সুতরাং আমাদের পুরোনো মন – মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেছেন, জাতিকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল ইলেকশন উপহার দেয়া আমাদের কমিটমেন্ট। জাতি এতোদিন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের বঞ্চনার কষ্ট আমরা দূর করতে চাই। বঞ্চনা ঘোচাতে এসেছি আমরা।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা উল্লেখ করে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা ধারণা করছি ওনারা যা সুপারিশ দেবেন, তাতেও আমাদের বিধি-বিধান আইন কানুনে একটা পরিবর্তন আনতে হবে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে একটা ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল একটা ইলেকশন জাতিকে উপহার দেয়া। যেটা থেকে এতোদিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে।