ফ্যাসিবাদের দোসর হত্যা মামলার আসামী মাহবুব ঢাকায় পোষ্টিং বাগিয়ে নিতে মরিয়া

সময়: 8:38 am - March 5, 2025 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর হত্যা মামলার আসামী মাহবুব ঢাকায় পোষ্টিং বাগিয়ে নিতে দশ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা নগর গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন হওয়ায় ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর ১৬ বছর যাবৎ ঢাকার ভিতর বিভিন্ন স্থানে পোষ্টিং থাকা সাবেক নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব সুরক্ষিত নয় ও অনিরাপদ যেকোন সময় একটি বড় ধরনের দুঘর্টনা ঘটতে পারে এই রকম প্রতিবেদন দাখিল করছেন জাতীয় নিরপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এন এস আই গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে। এর পর নভেম্বর মাসে মোঃ মাহাবুবুর রহমান কে শরিয়তপুর গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হয়। এখন কয়েক মাসে যেতেই তাকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিজার্ভে আনা হয় কারণ মাহবুব টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নেমেছেন সুযোগ বুঝে ঢাকার ওয়াকিং ডিভিশনের পোষ্টিং বাগিয়ে নিবেন প্রয়োজনে তিনি দশ কোটি টাকা দিতে রাজি। প্রশ্ন হলো মোঃ মাহাবুবুর রহমান এত টাকা পেল কোথায় অনুসন্ধান করে দেখা যায় বিগত আওয়ামী ফ্যাষ্টিস সরকারের পুরোটা সময় মাহবুবুর রহমান ছিলেন লোভনীয় পোস্টিং এ এবং সে সকল ডিভিশন থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যেমন নারায়নগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ ও নগর গণপূর্ত বিভাগ হতে কামিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এ বিষয়ে সাবেক নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব বলেন এস, বি এই রকম রিপোর্ট দিয়েছে এন এস আই দিয়েছে কিনা আমার জানা নাই। মাহাবুবুর রহমান ফ্যাসিবাদের দোসর। হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার গরমে ছাত্রদের লাশের উপর তিনি ফ্যাষ্টিস হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। তারা এখন মরিয়া আপা চট করে ঢুকে পট করে মসনদে বসবে আর এই সমস্ত দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তা আবারও দুর্নীতির মহাউৎসব শুরু করবেন। আবার লাশ ঘুমের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিয়ে চলবে। বাদিকে চাপ প্রয়োগ করে ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মামলা থেকে নাম কাটার জন্য মাহাবুবুর রহমান মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জানাযায়, দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী মাহবুবের খুলনা খালিশপুর হাউজিং পাচ তলা আলিশান বাড়ি, ঢাকার মোহাম্মদপুর দশ তলা একটি বাড়ি, উত্তরা ১২ সেক্টরে দুইটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে একটি ফ্ল্যাট এছাড়া নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা আছে যেমন ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বিজয়নগর শাখায় তার স্ত্রীর নামে দশ কোটি টাকা জমা আছে। তার ভাই মুন্না যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল আস্থাভাজন হয়ে খুলনা ও বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগে ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় টেন্ডার সিন্ডিকেটের রাজত্ব কায়েম করছেন। এতে অর্থ ও লাইসেন্স ম্যানেজ করে দিয়েছেন মাহবুব। পাঁচ তারিখের পর মাহবুবুর রহমানের ভাই ছাত্র ও জনতা গুলি করে হত্যা মামলার আসামী হয়ে বর্তমানে পলাতক আছেন।
এত টাকা তারা কিভাবে কামালো এবং নতুন পোষ্টিং বাগিয়ে নেওয়ার জন্য বস্তা ভরা টাকা নিয়ে ঘুরাঘুরির বিষয়ে মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ভাই অসুবিধা হবে না আমি আপনার সাথে দুইদিন পর দেখা করতেছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর