বিএনপি আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য পাশে ছিলো,ভবিষ্যতেও থাকবে : রফিকূল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি আহতদের নিয়ে আজ এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত ইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকূল ইসলাম। তিনি বলেন, ” বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বদা পাশে ছিলো, এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস পূনর্ব্যক্ত করেন।
আহতদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করেছেন, যারা আপনাদের চিকিৎসা প্রদানে বাধাদান করেছে তাদের অনেকে এখনো স্বাস্থ্যখাতে বহাল তবিয়তে আছেন। এই বিষয়গুলো স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এইসব ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মাদের দূর করতে আপনাদের আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। আমাদের দাবী কিন্তু ছিলো দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যেমে একটি গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। আমাদের কিন্তু একদফা দাবী অনেক আগে থেকেই ছিলো, এরপর আপনাদের আন্দোলন যখন একদফাতে আসলো তখন একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যেমে কিন্তু আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতা লাভ করে। এই বিজয় আমাদের ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে, দেশ নিয়ে নানারকম দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের চিকিৎসা যেনো ঠিকভাবে সে ব্যাপারে আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছি, আমরা চাই আপনাদের চিকিৎসা সঠিকভাবে হোক, প্রয়োজনে যাদের দরকার তাদের বিদেশে পাঠানো হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সবসময় আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও আমরা থাকবো ইন শা আল্লাহ।”
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।
তিনি তার বক্তব্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের তাদের ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাদের চিকিৎসা সুন্দরভাবে পরিচালনা করার আশা পূনর্ব্যক্ত করেন।
এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ডাঃ হাসনাত আহসান(ডেপুটি ডিরেক্টর) ,ডাঃ মোঃ আরিফুল হক(ডেপুটি ডিরেক্টর), ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম(সহকারী অধ্যাপক,রেডিওলজি) ডাঃ শাকিল আহমেদ(সহকারী অধ্যাপক,এনেস্থিসিয়া) ও হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।