ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

সময়: 8:41 am - April 8, 2025 |

মানব কথা: ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ডাকা হরতালের সমর্থনে বাংলাদেশে হওয়া বিক্ষোভের আড়ালে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাটা ও কেএফসি-তে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বেশ কয়েকটি শহরে গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের অবমাননা। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনার সাথে জড়িত কমপক্ষে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরো মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দৃঢ় প্রয়াসে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলো নিষ্ঠার সাথে পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল রাতে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম।

গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়াসহ অন্তত পাঁচটি জেলায় কেএফসি, পিৎজা হাট ও বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশের মহাপরিদর্শকের ওই নির্দেশ দেয়ার কথা জানানো হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে।

পুলিশের আইজি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের (হামলাকারীদের) চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হবে। সে ব্যাপারে পুলিশের টিম কাজ করছে।’

বাহারুল আলম এ-ও বলেন, সরকার কোনো আইনি আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে না। তবে প্রতিবাদের নামে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করব না।

এদিকে, বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, এমন এক সময়ে যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছি, তখন আমাদের এ ধরনের উদাহরণ স্থাপন করা দুঃখজনক।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন আরো বলেন, এসব ব্যবসার বেশিভাগই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কেউ কেউ বিদেশী যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতেন। তারা সবাই দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যারা এই জঘন্য ভাঙচুর করেছে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার প্রকৃত শত্রু।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর