ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা ঠেকিয়ে দিলেন ট্রাম্প

মানব কথা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার পক্ষে। এ কারণে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন। বুধবার প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং অন্যান্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল গত মে মাসের শুরুর দিকে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পিছিয়ে দেয়া। সমন্বিত বিমান হামলা ও কমান্ডো অভিযানের চিন্তা-ভাবনার পর ইসরাইল একটি ‘বিস্তৃত বোমা হামলার’ প্রস্তাব দেয়, যা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে পারত।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল এই অভিযানে অনুমতি দেবে না, বরং এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে।
তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউজে ‘মোটামুটি ঐকমত্যের’ পর ট্রাম্প এ পরিকল্পনা নাকচ করে দেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডসহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ হামলা ইরানের সঙ্গে আরও বড় সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গত বছর এপ্রিল ও অক্টোবরে ইরান ও ইসরাইল পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। এতে এই দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ-সমর্থিত ইরানের পরমাণু চুক্তি বাতিল করেন। তিনি তেহরানের বিরুদ্ধে গোপনে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ তোলেন এবং পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর জবাবে ইরানও চুক্তির শর্ত মানার বিষয়টি কমিয়ে দেয় এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়।
গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দেন, ‘চুক্তি না করলে’ ইরানের ওপর বোমা হামলা হবে। এর জবাবে ইরান জানায়, তারা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না। তবুও, এ ধরনের উত্তপ্ত বক্তব্যের মাঝেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান শনিবার ওমানে প্রথম দফা বৈঠকে বসে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, আলোচনা ‘কার্যকরী, শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।