চাটখিলে ইউসুফ কোম্পানির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আনিছ আহম্মদ হানিফ: নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ ইউসুফ কোম্পানির বিরুদ্ধে লিফলেটের মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার ৭নং হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের রমাপুর, পূর্ব গোবিন্দপুর, বক্তারপুর বাগে ইব্রাহিম মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসীর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রমাপুর, বক্তারপুর ও পুর্ব গোবিন্দপুর এলাকার চিহ্নিত প্রতারক, জাল জালিয়াতির হোতা, সরকারি-বেসরকারি অর্থ আত্মসাতকারী ও মামলাবাজ সাইদুর রহমান ও তার ২য় স্ত্রী হাবিবুন নেছা মুন্নি অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, চাটখিলের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দানবীর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ কোম্পানির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, অপপ্রচার এবং লিফলেট বিতরণের জঘন্য অপরাধে সাইদুর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত তহশিলদার সাইদুর রহমান এ এলাকার একজন কু-সন্তান। সে বিগত প্রায় ২ যুগের ও বেশী সময় ধরে এ এলাকা ও আশেপাশের মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে। সাইদুর রহমান এলাকার মান্যগন্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভূয়া ও বিভিন্ন প্রতারণা মূলক মামলা দিয়ে হেনস্থা করে আসছে। যে বা যারাই তার এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাকে বিভিন্ন ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
সাইদুর রহমান বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। তাছাড়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অপকর্ম করে জেল খেটেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী মিজানুর রহমান বলেন, সে চাকুরিরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হওয়ার কারনে সাময়িক বরখাস্ত হন।
দুর্নীতির মামলায় সাইদুর রহমান সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে মিজানুর রহমান জানান। তিনি আরও বলেন বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন নিজ জামাতার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের মামলা । এছাড়াও মেয়েদেরকে চাকুরির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে সেই স্বাক্ষর দিয়ে ভুক্তভোগীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যাকমেইলিং করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমান আমাদের কাছে আছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল উক্ত সাইদুর রহমান প্রচারিত একটি লিপলেট ও মিথ্যা মামলার বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী অবগত হই। এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান এখন পরিষ্কার।
বাগে ইব্রাহিম দারুল আযহার মাদ্রাসা, আলহাজ্ব ইউসুফ জামে মসজিদ এবং রমাপুর মার্কেটের জায়গা ওয়ারিসি এবং সাফ কবলা মূলে ইউসুফ কোম্পানি গংদের ভূমি বটে। বিগত ৫০ বৎসর যাবৎ যাহা ইউসুফ কোম্পানীর পরিবার ভোগ করে আসিতেছে। কাউছার আহম্মেদ কাজল কর্তৃক ঘরবাড়ি ভাংচুর, অস্ত্র প্রদর্শন ও ইজ্জত নষ্টের যে অভিযোগ আনা হইয়াছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বরং কাউছার আহম্মেদ কাজল এলাকার জনগণের জন্য নিস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। লোকমুখে প্রকাশ আছে কথিত সাইদুল কোম্পানির কাছে ১ লক্ষ টাকা চেয়ে না পেয়ে এখন কোম্পানিসহ তার আত্মীয়স্বজনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করিতেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ৩ গ্রামের মানুষ এই জুলুমবাজ, মামলাবাজ, প্রতারক সন্ত্রাসী সাইদুর রহমান ও মুন্নি গংদের থেকে আলহাজ্ব ইউসুফ ও তার পরিবারকে আইনি সুরক্ষা প্রদান ও প্রতারক চক্রের হোতাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানে প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের হোতা, জাল জালিয়াতির কারিগর, দূর্নীতি বাজ, মিথ্যা ভুয়া অপপ্রচার কারী সাইদুল এর এসব কথা লিখুনীর মাধ্যমে জাতীকে জানানোর আহ্বান জানান।
আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন, স্থানীয় মেম্বার মতিউর রহমান মিন্টু, আব্দুল গনি মেম্বার, আব্দুস সাত্তার, মাসুদ মাস্টার, কাজী মিজানুর রহমান, হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, মীর হোসেন মিলন, নাছির উদ্দিন ভূঁইয়াসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক শত মানুষ।