‘এক বাক্সে ভোট পাঠাতে’ একমত সমমনা পাঁচটি ইসলামী দল
মানব কথা: সংস্কার, নির্বাচন এবং দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সমমনা পাঁচটি ইসলামী দল একত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপে অংশ নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে নেতারা সাতটি মূল ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
বুধবার দুপুরে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং নেজামে ইসলাম পার্টি বাংলাদেশ।
সংলাপ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চরমোনাই পীর জানান, দীর্ঘদিনের চিন্তা-ভাবনা ও প্রস্তুতির ফসল হিসেবে এই সমমনা দলগুলো আজ এক প্ল্যাটফর্মে এসে মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো যেন সম্মিলিতভাবে অংশ নিতে পারে, সে বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, যা আমাদের জন্য সন্তোষজনক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে একমত হয়েছি। একইসঙ্গে আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট থাকবে। ইসলাম, মানবতা ও রাষ্ট্ররক্ষার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ।”
একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হওয়ার ঘোষণাও দেন চরমোনাই পীর। পাশাপাশি, তিনি নারীনীতি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি জানান এবং হুঁশিয়ারি দেন, তা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন। ফ্যাসিস্ট, খুনি, গণহত্যাকারী ও অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবিও তিনি জোরালোভাবে উত্থাপন করেন।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী নেতাদের মধ্যে ছিলেনবাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল রব ইউসুফী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারি, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
সংলাপ শেষে নেতারা জানান, এটি কোনো একদিনের কার্যক্রম নয়, লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ৫৪ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশ আজ যে রাজনৈতিক বাস্তবতায় উপনীত হয়েছে, তাতে করে ইসলামী দলগুলো আশাবাদী যে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে।
