যশোরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু

মানব কথা: যশোরে গত দু’দিনে করোনায় দু’জনের মৃত্যুতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখনই করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ আলী নামে ৪৫ বছর বয়সী একব্যক্তির করোনায় সর্বশেষ মৃত্যু হয়েছে।
ইউসুফ আলীর বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামে।
এর আগে বুধবার ভোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেখ আমির হোসেন নামে ৬৮ বছর বয়সী একব্যক্তির মৃত্যু হয় একই হাসপাতালে আইসিইউতে। তার বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায়।
হাসপাতালে এখনো করোনায় আক্রান্ত তিনজন চিকিৎসাধীন।
দু’দিনের ব্যবধানে দু’জনের মৃত্যুতে মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের দাবি, উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে কিংবা চিকিৎসকরা আশঙ্কা করার সাথে সাথে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা অবিলম্বে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা চালুর দাবি জানিয়েছে।
এখন পর্যন্ত যশোর ইবনে সিনা হাসপাতাল ছাড়া করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। এই ব্যয় মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ মারা যাওয়া ইউসুফ আলী পাঁচ দিন ধরে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর আগেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায় মৃত্যুর পর।
হাসপাতাল সূত্র আরো জানায়, ইউসুফ আলী শ্বাসকষ্ট ও কিডনি জটিলতা নিয়ে গত ১৩ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরুতে তাকে মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে দিন দিন তার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় ১৪ জুন চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার শরীরে অক্সিজেন লেভেল ক্রমেই কমতে শুরু করে। চিকিৎসকরা তার করোনার উপসর্গ দেখে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করে ইবনে সিনা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ইউসুফ আলী করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে। কিন্তু তার আগেই রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন শাফায়েত বলেন, ‘আমরা রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে রিপোর্ট পাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। যদি আগে নিশ্চিত হওয়া যেত, তাহলে হয়তো আরো কিছু ট্রিটমেন্টের চেষ্টা করা যেত।’