আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এই কথা শুনতে চাই না: মঈন খান

“আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন”—এই বক্তব্য আর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে শুনতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার দুপুরে রাজশাহীর ভূবন মোহন পার্কে দলের সদস্য ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঈন খান বলেন, “আমরা জানি দেশে সংস্কার ও বিচার প্রয়োজন, তবে এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা এমন নয় যে, একদিনেই সব সংস্কার বা বিচার সম্পন্ন হয়ে যাবে। অতীতে স্বৈরাচার সরকার যেমন বলেছিল, ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’, তেমনি এখন কেউ বললে, ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’, সেটা জনগণ মানবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আজ অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। জনগণ তাদের উপর আস্থা রেখেছে। তাই অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে।”
২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে মঈন খান অভিযোগ করেন, সেটি ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংঘটিত’ হয়েছিল। তিনি বলেন, “১৬ বছর তরুণ ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন তারা ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে।”
নেতাকর্মীদের প্রতি শৃঙ্খলা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জবরদস্তি করব না, নিয়মের বাইরে যাব না। আমরা গণতন্ত্র চাই, স্বৈরতন্ত্র নয়। ১৭ বছর অপেক্ষা করেছি, আরও কিছু সময় ধৈর্য ধরব।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা এবং সদস্যসচিব মামুন অর রশিদ।