মিরপুরে মেট্রোরেলে হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদল নেতা হান্নান: ডিবি
রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাইবার ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ। গতকাল শনিবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবির ভাষ্য, পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই হামলায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. ফেরদৌস (রুবেল)।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে। বিশেষ করে তারা স্বপ্নের মেট্রোরেলে আগুন লাগিয়েছে, সেতু ভবনে আগুন লাগিয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের হামলা ও হত্যা করা হয়েছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
জড়িতরা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবে। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে, ডিবি তদন্ত করছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।