সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার ঘটনায় আটক ৬
মানব কথা: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা এলাকায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে শহিদ হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩)। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চকরিয়া এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে শহীদ হন তিনি। পরে ওই এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ২টি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
উক্ত এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ০৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত সন্ত্রাসীদের নিকট হতে ২টি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে ০৪ জন প্রত্যক্ষভাবে সংঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত ছিল এবং অবশিষ্ট ২ জন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে। আটককৃতরা হলো- মোঃ বাবুল প্রকাশ (৪৪), মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৪), মোঃ আনোয়ার হাকিম (২৮), মোঃ আরিফ উল্লাহ (২৫), মোঃ জিয়াবুল করিম (৪৫) এবং মোঃ হোসেন (৩৯)।
লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় আটক ৬
সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারেক রহমানের উদ্বেগ
আটককৃতদের মধ্যে মো. বাবুল প্রকাশ এই ঘটনার মূল অর্থ যোগান দাতা। এছাড়াও সে লেফটেন্যান্ট তানজিমকে প্রাণঘাতী ছুরিকাঘাত করে বলে প্রাথমিক স্বীকার করেছে। অন্য আটকদের মধ্যে ডাকাত দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. হেলাল উদ্দিন, গাড়ি চালক মো. আনোয়ার হাকিম, সশস্ত্র সদস্য মো. আরিফ উল্লাহ এবং তথ্য দাতা মো. জিয়াবুল করিম ও মো. হোসেন উক্ত ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাত দলের অন্য জড়িত সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, আটককৃত ০৬ জনকে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেনাসদস্য বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।