যুব মহিলা লীগ নেত্রী লুনা হোসেন ও তার স্বামী’র বিরুদ্ধে মানববন্ধ

সময়: 10:13 am - April 16, 2025 |

মানব কথা: যুব মহিলা লীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামী প্রখ্যাত মামলাবাজ, দখলবাজ, চাঁদাবাজ ‘মকবুল হোসেন সর্দারের অবৈধ দখল থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হতে ১৯৫৪ ইং সনে বরাদ্দপ্রাপ্ত ঢাকা গভঃ নিউ মার্কেটের ২৬১, ২৬২, ও ২৬৩ নং দোকানগুলো দখল মুক্ত করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে দোকান দখলমুক্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয় । উক্ত মানব বন্ধনটি আয়োজন করেন “বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান লিপিকা দাস গুপ্তা।

মানববন্ধনে লিপিকা দাস গুপ্তা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতি লিঃ সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধনকৃত একটি সমবায় সমিতি। যাহার ৮৭ শতাংশ মালিকানা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ১২শতাংশ মালিকানা সমবায় সমিতির। সংস্থাটি বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, নিবন্ধন নং-০১, তারিখ: ১২-০২-১৯৫৪ স্ত্রীঃ। দোকানের ভাড়াটিয়া লুনা হোসেন, স্বামী মকবুল হোসেন সর্দার ধানমন্ডি নিউমার্কেট এলাকার যুব মহিলালীগ নেত্রী। তার স্বামী মকবুল হোসেন সর্দার উক্ত সমিতির সভাপতি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া সমিতির নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনপূর্বক নিজে ও তার স্ত্রীকে অবৈধভাবে লাভবান করার জন্য ২৬-০২-২০০৪ ইং তারিখে ৫ বছর মেয়াদী একটি দোকান ভাড়ার চুক্তি সম্পাদন করেন।

উক্ত মেয়াদ ৩১-০৩-২০০৯ইং তারিখে সম্পন্ন হয়। উক্ত লুনা হোসেনকে মেয়াদান্তে দোকান ছেড়ে দেয়ার নোটিশ প্রদান করলেও ৩০-১২-২০০৮ইং তারিখে আরো ৫ বছরের জন্য আবেদন করেন। জামানতবিহীন বৈষম্যমূলক জামানতের টাকা সমিতির ফান্ডে না রেখে চুক্তি সম্পাদন করায় কার্য নির্বাহী কমিটি উক্ত আবেদন অগ্রাহ্য করেন এবং সেই মোতাবেক ০৩-০৩-২০০৯ ইং তারিখে পূণরায় নোটিশ প্রদান করা হয়। জবরদখলকারী লুনা হোসেন ও তাঁর সুচতুর স্বামী মকবুল হোসেন সর্দার তফশিল বর্ণিত দোকান অবৈধভাবে গ্রাস মানসে ১৪-০৭-২০০৬ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ এর সেক্রেটারীর স্বাক্ষর জাল করে ‘দোকান ভাড়ার চুক্তি’ এবং ০১-০৪-২০০৯ইং হতে অদ্যাবধি তফশিল বর্ণিত দোকানের জাল চুক্তিনামা সৃজন করে জোরপূর্বক ভোগ দখলে নিয়ত আছে, কল্পকাহিনী সৃষ্টি করিয়া বারবার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মোকাদ্দমা আনয়ন করে তাদের দখল দীর্ঘায়িত করার অবকাশ পেয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ এর সাথে তাদের কোন বৈধ ভাড়াটিয়া চুক্তি নাই এবং তারা কেউই বৈধ ভাড়াটিয়া নয়। যুবমহিলা লীগ নেত্রী ও জবরদখলকারী লুনা হোসেন ও তাঁর স্বামী বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন সর্দার পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনী জটিলতার আবর্তে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ এর তফশিল বর্ণিত দোকান দখলে রাখতে যেমন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। লুনা হোসেন গংদের আর্জি বারংবার বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক খারিজ হলেও তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে উক্ত সম্পত্তি ও দোকান চিরতরে গ্রাস করার নিমিত্তে একের পর মামলা দায়ের করে দোকান ভোগদখল করে আসছেন।

সুচতুর লনা হোসেন ও তার দুষ্কৃতিপরায়ণ ও পরবিত্তলোভী স্বামী মকবুল হোসেন পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতি লিঃ এর নিম্ন তফশিল বর্ণিত সম্পত্তি কুক্ষিগত করার জন্য বিগত ২৪-০৩-২০০৯ইং তারিখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৫ ধারা পিটিশন মামলা নং-৬২৬/০৯ দায়ের করে। অতঃপর বিজ্ঞ ১ম সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবীতে ২৫-০৩-২০০৯ইং তারিখে দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ১৭৬/০৯ দায়ের করিলে শুনানী অন্তে ০২-০৬-২০০৯ইং তারিখে খারিজ হয়। লুনা হোসেন, তার দুষ্কৃতিপরায়ণ ও পরবিত্তলোভী স্বামী মকবুল হোসেন উপরোক্ত খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ২৮-০৬-২০০৯ইং তারিখে দেওয়ানী আপিল নং ২৩০/০৯ দায়ের করেন। উক্ত মোকাদ্দমাটি ২য় প্রতিবাদে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে যুক্ত হয়, তৎপর বিজ্ঞ ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত হতে মোকাদ্দমাটি ৫ম অতিঃ জেলা জজ আদালতে বদলীপূর্বক উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে বিগত ১২-১০- ২০১৪ইং তারিখে খারিজ হয়।

অতঃপর লনা হোসেন ও তার দুষ্কৃতিপরায়ণ ও পরবিগুলোভী স্বামী মকবুল হোসেন বিগত ২৫-০৩-২০০৯ইং তারিখে দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ১৭৬/০৯ এর কথা গোপন করিয়া ০৫-০৮-০৯ইং তারিখে একই বিষয়ে বিজ ১ম সহকারী জজ আদালতে দেঃ মোঃ নং-৪৬৪/০৯ দায়ের করেন এবং ইহাও বিগত ২০-০৫-২০১০ ইং তারিখে শুনানী অন্তে খারিজ হয়। বিগত ০২-০৬-২০০৯ইং তারিখে বিজ্ঞ ১ম সহকারী জজ আদালতে বাড়ী ভাড়া মোকাদ্দমা নং-৯৩/০৯ দায়ের করে যাহা ৩১-০১-২০১০ইং তারিখে শুনানী অন্তে খারিজ হয়। অতঃপর বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ০৪-০৫-২০১০ইং তারিখে মিস আপিল ৮৭/১০ দায়ের করেন। ইহা ০৮-০৪-২০১৩ইং তারিখে শুনানী অন্তে খারিজ হয়।

উল্লেখ্য যে, উক্ত লুনা হোসেন ১৮-১০-২০১০ইং তারিখে ২৩০/০৯ এর আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মোকাদ্দমা ৩৮৯২/১০ দায়ের করেন। ২৬-০৫-২০১৪ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ০৮ সপ্তাহের মধ্যে দেঃ আঃ ২৩০/০৯ নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতে প্রেরণ করেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে সুল্লীল কোর্টের আপীল বিভাগে ২৩৭০/২০১০ দায়ের করে। বিগত ২২-১০- ২০১৪ইং তারিখে আপীল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন। অতঃপর ৫ম অতিরিক্ত জজ আদালতে শুনানী অন্তে ১২-১০-২০১৪ইং তারিখে দেওয়ানী আপীল নং-২৩০/০৯ নামঞ্জুর করেন। আপীল মোকাদ্দমা নং-২৩০/০৯ খারিজ হবার পর জাল চুক্তি সৃজন ও তথ্য গোপন করিয়া পুণরায় বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একই প্রতিকারের নিমিত্তে বিগত ১১-১১-২০১৪ইং দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং-৪৭৮/১৪ দায়ের করে এবং উক্ত মামলা ০৫-০৪-২০১৫ইং তারিখে শুনানী অন্তে খারিজ হয়। উক্ত খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী আপিল ১৩২/১৫ দায়ের করে, উক্ত আপীল ০৪-০৬-২০১৫ইং তারিখে শুনানী অন্তে খারিজ হয়।

আপীল মোকাদ্দমা নং-২৩০/০৯ এর ১২-১০-২০১৪ইং তারিখের রায় ও ডিক্রীর বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন ৪১২৬/২০১৪ দায়ের করে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন চুক্তিনামা সৃষ্টি করিয়া বিগত ১১-১১-২০১৪ইং তারিখে বিজ্ঞ ১ম সহকারী জজ আদালতে দেঃমোঃ নং-৪৭৮/১৪ দাখিল করেছে। বিগত ১৮-১১-২০১৪ইং তারিখে বাড়ী ভাড়া মোকাদ্দমা নং-৬৪/১৪ দায়ের করেছে। মোকাম: বিজ্ঞ ১ম সহকারী জজ ও বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আদালত, ঢাকা। সিআর মামলানং-২৫১/২০১৭ ধারা ১০৯/৪২০/৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ প্যানাল কোড বাদী-আবু নাছের মজুমদার, সেক্রেটারী- বাংলাদেশ জাতীয় শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ বিবাদী- লুনা হোসেন ও মকবুল হোসেন সর্দার। মোকাম: বিজ্ঞ ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকা। মানি মোকাদ্দমা নং-১৭/২০২১ তারিখ: ৩০-০৯-২০২১ইং বাদী- বাংলাদেশ জাতীয় শিল্প সমবায় সমিতি লিঃ বিবাদী- লুনা হোসেন। মোকাম: বিজ্ঞ ১ম সহকারী জজ আদালত, ঢাকা। দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং-৯৩৪/২০২১ তারিখ: ০১-১১-২০২১ইং ।

এবিষয়ে জানতে ‘মকবুল হোসেন সর্দারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর