তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝে রাজনীতি করতে হবেঃ ড.জিয়াউদ্দীন হায়দার

জাহিদ,ওয়াশিংটন ডিসি:
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর নবনিযুক্ত সদস্য ড.জিয়াউদ্দীন হায়দার বলেছেন, ৫ আগস্টের মুক্তি পাওয়া আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে। আমরা অতীতের রাজনৈতিক ধরণে ফিরে যেতে পারবো না। নতুন প্রজন্মকে শুধু আশ্বাস দেখালে তারা মেনে নিবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে পবিত্র কুরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে সংবর্ধনা শুরু হয়।
ড.জিয়াউদ্দীন হায়দারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পেছনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার শাসনতন্ত্র জনগণের গলা চেপে ধরেছিল। প্রবাসীদের কনট্রিবিউশন না থাকলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেত না।
উপদেষ্টা জিয়াউদ্দীন হায়দার বলেন, ছাত্রজনতার জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। পৃথিবীর কোথাও এমন কোন উদাহরণ নাই, যেখানে একজন সরকার প্রধানের সাথে সাথে তার সকল সদস্যকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বিএনপির রাজনীতিকে জ্ঞান নির্ভর করতে হবে। বিএনপির ভিশন ২০৩০ ডকুমেন্টারিতে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি সম্পর্কে সকল নির্দেশনা দেওয়া আছে। বিএনপি যদি কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় তাহলে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে তার সব নির্দেশনা এখানে ছিল।
তুহিন ইসলাম ও সৈয়দ সালেহ মুনসুর পরশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নয়ন বাজ্ঞালি, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, মিয়া মজনু, মহিউদ্দিন আনয়ার, ডাক্তার নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার শামিম, জাহিদ খান,নেসার আহমেদ, শামসুদ্দিন আহমেদ, কবিতা দেলোয়ার ও কামরুন কনা।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদ খান
উল্লেখ্য, বিএনপির নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য
ড.জিয়াউদ্দীন হায়দার একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে টেকসই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে জিয়া হায়দার কাজ করেছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এছাড়াও পরমানু শক্তি কমিশন সহ খ্যাতনামা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি অধ্যাপনা করেছেন।