রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল পদ্ধতিকে সমর্থন

মানব কথা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে এই প্রস্তাব উঠে আসে।
আলোচনায় জানানো হয়, বর্তমানে তিনটি ভিন্ন কাঠামোর প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে—সবকটিই ইলেকটোরাল কলেজভিত্তিক।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, সংসদ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয় এবং নারী আসন ১০০ করা হয়, তবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫০০ ভোট নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে তার দল। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন থেকে অতিরিক্ত ৭৬ ভোট অন্তর্ভুক্ত করার কথাও আলোচনায় এসেছে। জামায়াত গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সুপারিশ করেছে, যেমনটি তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনেও হয়ে থাকে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানান, কেউ কেউ ইউনিয়ন পরিষদকেও ভোটার তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা প্রস্তাবিত ৫৭৬ ভোটের বাইরে আরও প্রায় ৭০ হাজার ভোট যোগ করবে।
বেশিরভাগ দল সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ সংশোধনের দাবি জানিয়ে বলেছে, গোপন ব্যালটে ভোট হলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আরও কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
নুরুল হক নুর বলেন, “কমিশন এখনও নিরপেক্ষ নয়। কিছু দলের প্রতি তাদের পক্ষপাতিত্ব রয়েছে, যা দূর করা জরুরি।” একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মিত্র ১৪ দলের কয়েকটি শরিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের গণতান্ত্রিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।
জাতীয় ঐকমত্য গঠনে কমিশনের আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতে একটি ব্যাপক সংস্কারের ইঙ্গিত মিলছে—যা আগামীর রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।