বরিশালে স্বাস্থ্য সংস্কারের আন্দোলনের অনশনে অসুস্থ ২ শিক্ষার্থী

মানব কথা: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারসহ তিন দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতালের পরিচালক একেএম মশিউল মুনীর ফটকের সামনে এসে চিকিৎসা প্রদান করেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এসএসসি পাশ করা তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান এবং শাফিন মাহমুদ।
তাহমিদ ইসলাম দাইয়ানকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয়। মশিউল মুনীর তাকে বেডে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ট্রলি নিয়ে আসেন, তবে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে যেতে রাজি না হওয়ায় ফটকের সামনের অবস্থানেই স্যালাইন ও অক্সিজেন প্রদান করা হয়।
অনশনরত শিক্ষার্থী শাফিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা অনশন শুরু করেছি ২৪ ঘণ্টা হলো। এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেই। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যতক্ষণ না আসেন ও সমাধান না দেন, ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি দেশের মানুষের সঠিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়, সেই মৃত্যু আমরা মেনে নিব।’
অসুস্থ দাইয়ান জানান, ‘আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টরা তাড়িয়ে দিয়েছি, আমাদের এক দফা আন্দোলনে বাধ্য করবেন না।’
হাসপাতালের পরিচালক একেএম মশিউল মুনীর বলেন, ‘আমার পক্ষে যা করা সম্ভব, আমি করেছি। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে কাজ চলছে। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের সবসময় খোঁজ নিয়েছি এবং অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তাদের অনশন ভঙ্গ করানোর চেষ্টা করেছি এবং সবকিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা চেষ্টা থেকে কোনো ত্রুটি রাখি নি।’
অনশনরত শিক্ষার্থী শাফিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিচালকের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই, আমাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে, তাকে আসতে হবে।’
তাহমিদ ইসলাম দাইয়ানের বোন শিফা বলেন, ‘আমার ভাই অসুস্থ, আন্দোলনের সময় গুলিও খেয়েছিল। ওর যদি কিছু হয়, তাহলে প্রধান ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দায়ী থাকবেন।