যুব সমাজকে বেকারত্বের গ্লানি থেকে মুক্ত করতে কাজ করছেন নবাবগঞ্জের চুন্নু মিয়া
স্টাফ রিপোর্টার: নবাবগঞ্জের আইয়ুব হোসেন চুন্নু মিয়া। একজন প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা। প্রবাসী অর্থে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি করেছেন সে এক মনোমুগ্ধকর রাজপ্রাসাদ। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা প্রতিদিনই ওই বাসার ভিডিও করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। রাজপ্রসাদটি এখন খানেপুরের ভাইরাল বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
প্রবাসে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন তার মনোযোগ গ্রামের যুব সমাজকে বেকারত্বের গ্লানি থেকে মুক্ত করা। শুধু তাই নয় এলাকার সামাজিক কর্মকান্ডে রয়েছে তার বিশাল অবদান। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ খালি হাতে ফিরেনা। এলাকায় বড় বড় খেলাধুলা ও ওয়াজ মাহফিলে তার অর্থ সহায়তা প্রশংসা করার মত।
জানা যায়, ১৯৭৭ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার খানেপুর গ্রামে তার জন্ম। অনেকটা ছোট বয়সেই গিয়েছিলেন বিদেশে। ১৯৯৪ সালে ভাগ্যের চাকা ঘুড়াতে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে। প্রথম দিকে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। হঠাৎ প্রবাসে শুরু করেন ব্যবসা। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাড়িয়েছেন ব্যবসার পরিধি। এখন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এলাকার বহু যুবক কাজ করছেন।
এলাকার টানে বছরে কয়েকবার আসেন গ্রামে। ধনী-গরীব সবান সঙ্গে মন খুলে গল্প করেন। নেই কোন অহংকার। নিরঅহংকারী এই মানুষটি এখন সমাজের নানা উন্নয়নে কাজ করছেন। মসজিদ-মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করেন তিনি। খানেপুর ইসলামিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শুরুর দিকে অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এখন তিনি ওই প্রতিষ্ঠানেরই দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভূমিকা রাখছেন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের।
সম্প্রতি মাদ্রাসার এক অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খেলার মাঠের পরিধি বাড়াতে তিনি পাশের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষরে আইয়ুব হোসেন চুল্লু মিয়া বলেন, আল্লাহ আমাকে আজ অর্থ বৃত্তের মালিক করেছেন। এই অর্থে সবার ভাগ রয়েছে। চেষ্টা করি মানবতার কল্যাণে কাজ করতে। এলাকার মানুষের উন্নত চিকিৎসার কথা চিন্তা করে একটি হাসপাতাল ক্রয় করেছি। খুব শিগগিরই হাসপাতালটিকে এলাকাবাসীর উন্নত চিকিৎসা প্রদান কেন্দ্রে পরিণত করব। এলাকাবাসী জানায়, কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী চুন্নু মিয়া এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। পার্শবর্তী এলকাতেও তিনি সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখছেন। এ বিষয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, চুন্নু মিয়া দেশে -বিদেশে সব যায়গাতেই এলাকাবাসীর জন্য কাজ করেন। তার প্রতিষ্ঠানে বহু প্রবাসী কাজ করছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশীয় সবজি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। কুয়েতে দিন দিন বাংলাদেশের সবািজর চাহিদা বাড়ছে।













