এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে: আগামী মাসেই ঘোষণা!
মানব কথা: ভিনগ্রহের প্রাণী বা এককথায় এলিয়েন নিয়ে পৃথিবীতে চর্চা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে হাল আমলের সিনেমায় দেখা মেলে এই এলিয়েনের। কিন্তু এখনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এর অস্তিত্বের। এবার নাসার প্রখ্যাত ফিল্মমেকার সাইমন হল্যান্ড দাবি করলেন, এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, পৃথিবীর একটি টেলিস্কোপে এলিয়েনের কিছু লক্ষণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ফিল্মমেকার সাইমন হল্যান্ড। এই নির্মাতা আবার যেনতেন কোনো ব্যক্তি নন। তিনি নাসার অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কর্মসূচিতে যুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া কাজ করছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গেও।
ফিল্মমেকার সাইমন হল্যান্ড দাবি করছেন, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব বের করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি তারা সুখবর দিয়েছে। মার্ক জাকারবার্গের ব্রেকথ্রু লিসেন প্রজেক্ট থেকে একটা ‘টিপ’ মিলেছে। তাতেই মনে হচ্ছে শক্তপোক্ত প্রমাণসহ আগামী মাসে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর আগে কিংবা পরে এই ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ফিল্মমেকার সাইমন হল্যান্ড। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পার্কেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে কিছু সিগন্যাল। এগুলো মানুষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। কয়েক বছর আগে এই সিগন্যাল শনাক্ত করে তারা।
তবে এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রমাণ করা নিয়ে এরই মধ্যে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন চীনা গবেষকেরা। এমনটাই অভিযোগ ফিল্মমেকার সাইমন হল্যান্ডের। তিনি দাবি করছেন, চুরি করে এসব তথ্য নিয়ে আমেরিকার আগেই এলিয়েনের অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়ে দিতে পারে চীন। তবে এ নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাইমন হল্যান্ড সংবাদমাধ্যম দ্য মিররকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) পর্যন্ত এটি একটি ব্রেকিং নিউজ। কিন্তু চীনারা এই তথ্য চুরি করে নিয়ে নিতে পারে। তাদের কিন্তু ফাস্ট নামের একটি টেলিস্কোপ রয়েছে। এই টেলিস্কোপ নিয়ে এলিয়েনের শনাক্ত করার প্রমাণ দিতে পারে তারা।’
এলিয়েনের অস্তিত্বের সিগন্যাল পৃথিবী থেকে ৪ দশমিক ২ আলোকবর্ষ দূরে মিলেছে বলে দাবি করছেন সাইমন হল্যান্ড। এখনো তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। এর উৎস আসলে কোথায়, তা বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।
এলিয়েন খুঁজতে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশযান। পৃথিবীতে দেখা যাওয়া অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) নিয়েও রয়েছে রহস্য। অনেকেই বলছেন, এগুলো এলিয়েনের। গত জুনে হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, মানুষের মতো আকার-আকৃতি নিয়ে আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে এলিয়েন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, সম্প্রতি নতুন এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করেছেন হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান ফ্লোরিসিং প্রোগ্রামের একদল গবেষক। এতে বলা হয়, এলিয়েন বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে পারে। এরা থাকতে পারে চাঁদে। এমনকি মানুষের মতো আকার ও আকৃতি নিয়ে আমাদের মধ্যেই এরা হয়তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা তা টেরই পাচ্ছি না। আমাদের সভ্যতার আগের ধাপগুলোতেও এদের বিচরণ ছিল। কিন্তু আমরা তা যাচাই করতে পারছি না।
শনাক্ত না হওয়া উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও) নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে করা গবেষণার প্রতিবেদন ২০২৩ সালে প্রকাশ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ৩৩ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএফও নিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক কৌশলে গবেষণা চালাতে হবে। এ জন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউএফও, এলিয়েন কিংবা ইউএপির কোনো প্রমাণ পায়নি সংস্থাটি।