সাভারে দাফন করা লাশটি হারিছ চৌধুরীর
মানব কথা: বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে সাভারে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট তার পরিবারের সাথে মিলেছে। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর লাশ দাফন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বের) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাশ দাফনের আদেশ দেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি আড়ালে চলে যান। এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হারিছ চৌধুরী নাম পাল্টে হয়ে যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান। ২০২১ সালে তিনি মারা গেলে সেই মাহমুদুর রহমান পরিচয়েই তাকে ঢাকার সাভারে দাফন করা হয়। কিন্তু তিনি যে হারিছ চৌধুরী সেটি প্রমাণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।