গণপূর্তের প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় সমান সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক।
অনুসন্ধানে প্রতিবেদক দল যার সত্যতা পেয়েছে, পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর আলাউদ্দিন এর আশ্চর্য প্রদীপ এর কল্যাণে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ও জনতা বিজয়ের পর দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা গেল এই কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বটতৈল ঈদগাঁও পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম তিন ভাই এক বোন মধ্যে দ্বিতীয় আব্দুল হালিম বাবা আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা পিডিবির সিকিউরিটি চাকরির সূত্রে কুষ্টিয়ায় আসেন তিনি। যে পরবর্তীতে সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আনোয়ার হোসেন চাকরি জীবনে অর্থ বিত্ত ও সম্পদের মালিক তেমন একটা না হতে পারলেও ছেলে আব্দুল হালিম কারিশমা অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন । আনোয়ার হোসেন কে বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে চিনে থাকেন। বটতৈল ইউনিয়নের শিশির মাঠ নামক জায়গায় এই আনোয়ার মন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জমি কেনায় জায়গাটি এখন মন্ত্রীর মাঠ নামে পরিচিত। আব্দুল হালিম তার অবৈধভাবে অপরিচিত অর্থ বৈধ করতে বাবা আনোয়ার হোসেন সহ স্ত্রী শশুর কুলের নিকট আত্মীয়-স্বজনের নামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমি স্বল্প মূল্যে রেজিষ্টেশন করে নেন। এছাড়া বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে পরিচিত অর্থ ও সম্পদ তিনি বৈধ করে থাকেন।
ভূমি অফিস থেকে ব্যাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে জানা যায়, পিডব্লিউডি ই এম ডিভিশন-১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম নিজ নামে ঢাকার দুটি জমি সহ বাড়ি রয়েছে যার একটি মোহাম্মদপুরে আ/এ- ০৩ নং মৌজায়। এই মৌজায় নির্মাণকৃত বাড়িটির হোল্ডিং নং নাম্বার ১৭৫/৩০ খতিয়ান নম্বর ১২৪১৪ দাগ নং ২১।
উল্লেখিত মৌজায় আব্দুল হালিমের জমির পরিমাণ ৪১/৯১ কাঠা।
অনুসন্ধানে প্রতিবেদক দল যার সত্যতা পেয়েছে, পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশল তারা আরেকটি জমিনসহ বাড়ি রয়েছে যার হোল্ডিং নং ১৭৯/২৪০ খতিয়ান নম্বর ৭৩ ৯ ৩ ২ দাগ নং ২/২৩ উল্লেখিত মৌজায় তার নিজ নামীয় জমির পরিমাণ ২৭.৭২ কাঠা । বারি বাদে দুটি জমি একত্রে ৭৫.৩৬ কাঠা। জমি দুটি আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ কোটির উপরে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের দশকে ঢাকায় জমি সহ কারী এবং দেশের বেশ কয়টি জেলায় জমি ফ্লাট ক্রয় করেছেন এই কর্মকর্তা। নাম প্রকাশের অন্নুছুক বটতৈল এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরানো আনোয়ার মন্ত্রী পরিবারের এখন তারা সম্পদের পাহাড় তার ছেলে হালিমের টাকায় বটতৈল এলাকায় বীঘার পর বিঘা জমে কিনেছেন তারা সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বল্প সময়ের এত টাকার মালিক বলে যাওয়া সেটা হালিমকে না দেখলে বোঝা যায় না। এ বিষয়ে জানতে আব্দুল হালিম সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।