বিআইডব্লিউটিএর সিবিএ নেতা আকতার হোসেনের বিপুল সম্পদের উৎস কি?
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিআইডব্লিউটিএ সিবিএ নেতা আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, নিরীহ কর্মচারীদের মারধর,ভয়-ভীতি দেখিয়ে অন্যত্র বদলি, বদলি বাণিজ্য সহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র মারফত অভিযোগ পাওয়া যায় যে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং শাখার কর্মচারী সিবিএ নেতা আকতার হোসেন গত ১৬ বছরে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নানাবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কর্মচারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে আকতার হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার সহযোগী অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে গত ১৬ বছর বিআইডব্লিউটিএতে নানা ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য,বদলি বাণিজ্য, তদবির বাণিজ্য সহ অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
সুত্র মারফত জানা যায় আকতার হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুস ছাত্তার শেখের নেতৃত্বে ইতিপূর্বে একাধিক তদন্ত কমিটি হয়েছিল সেই তদন্তে আকতার হোসেন এবং তার সহযোগীদের অনিয়ম দুর্নীতির অনেক তথ্য পেয়েছিলেন তদন্ত কমিটি। সে সময় তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন উপসচিব কাজী নজরুল ইসলাম। সে সময় তদন্ত কমিটি তাদের কাছ থেকে তাদের অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কিভাবে সিবিএর কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল তখন তারা কোন উত্তর দিতে পারেননি।
এছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অবৈধ কমিটির কার্যকরী সভাপতির পদটি নিয়েছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজম খসরুকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। আকতার হোসেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন নামক একটি সংগঠনেরও সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সেই সংগঠনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদেরকে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে বিভিন্ন পদে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার নামে-বেনামে ঢাকায় এবং গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতেও বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। রাজধানীর মুগদায় ৩৩/এ আহমদবাগে একটি বহুতল ভবনের চারতলায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফ্লাটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন আকতার হোসেন। তার বিলাসী জীবন যাপনই বলে দেয় তিনি যে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। বিআইডব্লিউটিএর একজন কর্মচারী হয়ে তিনি এত বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন? তার সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে? তার এ সকল অন্যায় কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ইতিপূর্বে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।এ সকল বিষয়ে আকতার হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।