বগুড়ায় গণপূর্ত প্রকৌশলী ফারজানার টেন্ডার বাণিজ্যর অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে নিজ জেলায় পোস্টিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা আক্তারের বিরুদ্ধে নিজ জেলায় পোস্টিং বাগিয়ে নিয়ে প্রভাব বিস্তার, নিয়ম বহির্ভূতভাবে টেন্ডার আহ্বান এবং পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, ফারজানা আক্তার প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দ ও এপিপি (এনুয়াল প্রোকিউরমেন্ট প্ল্যান)-এর আওতায় এলটিএম পদ্ধতির বদলে ওটিএম পদ্ধতিতে একাধিক দরপত্র আহ্বান করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এই দরপত্রগুলোতে তার পছন্দের ঠিকাদারদের ১০% লেস রেটে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, এসব ওটিএম দরপত্রের আইডিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
Id.no.1111781, Id.no.1119316, Id.no.1113079, Id.no.1111563, Id.no.1111558, Id.no.1111559, Id.no.1111560, Id.no.1111570, Id.no.1111567, Id.no.1111569, Id.no.1111561, Id.no.1111564, Id.no.1111565, Id.no.1111566, Id.no.1081546, Id.no.1100790, Id.no.1102028, Id.no.1091973, Id.no.1091974, Id.no.1091975, Id.no.1091976, Id.no.1091977, Id.no.1091978, Id.no.1091979, Id.no.1082159, Id.no.1080235, Id.no.1080236, Id.no.1069131, Id.no.1070874, Id.no.1070875, Id.no.1070876, Id.no.1071265, Id.no.1043248, Id.no.1029596, Id.no.1018159।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, চলতি অর্থবছরের এপিপি পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অন্তত ৬টি কাজের ওটিএম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যা বর্তমানে সরকারি ওয়েবসাইটে লাইভ রয়েছে।
সাধারণ ঠিকাদারদের দাবি, এভাবে আগেই নির্ধারিত ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার মাধ্যমে প্রকৌশলী ফারজানা আক্তার মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের কাজেও নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ফারজানা আক্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলারশিপ ও প্রাইম মিনিস্টারস ফেলোশিপ প্রাপ্ত এবং বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও, বগুড়ায় পোস্টিং পাওয়ার পর তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিচ্ছেন। অনেকে তাকে ‘ফ্যাসিবাদ সরকারের সুবিধাভোগী থেকে বিএনপি-ঘেঁষা কর্মকর্তা’ বলেও উল্লেখ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারজানা আক্তার সাংবাদিকদের ফোন কল ও বার্তায় সাড়া দেননি।