কে হচ্ছেন গণপূর্তের পরবর্তী প্রধান প্রকৌশলী?এই নিয়ে দুই শিবিরে বিভিক্ত প্রভাবশালী প্রকৌশলীরা

সময়: 9:35 am - September 1, 2025 |

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার অবসরে যাবেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫। এরপর কে হচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সেটা নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেকে যোগ্য প্রমান করতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন দামী চেয়ার ধরে রাখা বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলীরাও নিজেদের কোরামের লোককে প্রধান প্রকৌশলী বানাতে তদবীর শুরু করেছেন। প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার দৌড়ে আছেন ময়মনসিংহ গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মইনুল ইসলাম। ১৫ বিসিএস এর এই কর্মকর্তা মেধা তালিকায় দ্বিতীয়। তাকে নিয়ে তদবীরে ব্যস্ত বরিশাল কেন্দ্রিক অফিসারদের গ্রুপ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সিলেটের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ। এই গ্রুপে আছেন ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান (চুন্নু) , মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ (৩১ বিসিএস), মতিঝিলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকল্প বিভাগ-৫ আনম মাজাহারুল ইসলাম প্রমুখ। এদের নেতৃত্বে থাকা ইলিয়াসের বিরুদ্ধে২০১৮ সালে, সরাসরি আওয়ামীলোগের শাহে আলম মুরাদ; শম রেজাউল করিম এর নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহনের প্রমান, ক্যাসিনো কান্ডে সম্পৃক্ততা, দলীয় ক্যাডারের ন্যায় টেন্ডারবাজি, দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার, সর্বোপরি ২০২৪ এ জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্র গণহত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকায় ৫ আগস্টের পরে তাকে ঢাকার বাহিরে বদলী করা হয়। কিন্তু বদলী হয়েও তিনি থেমে থাকেন নি। রাতারাতি ভোল পাল্টে সিলেটএর ঠিকাদারদের মাধ্যমে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশের সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি সাজতে চাচ্ছেন। পরে নিজেকে বঞ্চিত সাজিয়ে নির্বাচনের পর আবার ঢাকায় ধুকতে চাচ্ছেন। প্রকল্প বিভাগ-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আনম মাজাহারুল ইসলাম, সাবেক পূর্তমন্ত্রী ও মতস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম এর ভাগ্নে।

দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পর বিভাগীয় মামলা হয়েছিল গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের (বিপিএসসি) মতামত নিয়ে ২০১৩ সালে তাকে চাকরিচ্যুতও করে মন্ত্রণালয়। তবে বিতর্কিত এ প্রকৌশলী এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। যেভাবে চাকরিচ্যুত হলেন : মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মইনুল ইসলামকে (রিজার্ভ) ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর (স্মারক নং-সশা-১/১প-৩/০৯/১৬৮) প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দিয়ে পদায়ন করা হয়। তিনি পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান না করে একই বছরের ২৬ অক্টোবর ১ মাস ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এজন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তত্ত্ব¡াবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। এরপরও তিনি নোটিসের জবাব না দিয়ে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগদান করেনি। এ অবস্থায় বিনা অনুমতিতে দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৩ (বি) ও ৩ (সি) উপ-বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগের (ডিজারশন) অভিযোগে মামলা করা হয়। এ অভিযোগের পর আত্মপক্ষ সমর্থনে এ প্রকৌশলীকে লিখিত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানির জন্য বলা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মামুনুর রশিদ খলিলিকে নিয়োগ করা হয়। তদন্ত শেষে তিনি জানান, তার তদন্তকালে মইনুল ইসলাম উপস্থিত হননি। উপস্থিত না হওয়ার কারণও জানাননি। তাই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৩ (বি) ও ৩ (সি) উপ-বিধি অনুযায়ী তাকে চাকরি হতে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মইনুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর পূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-৫) মো. হেমায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পিএসসির সচিবের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, এ প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে হলে বাংলাদেশ কর্ম-কমিশন প্রবিধানমালা, ১৯৭৯ এর ৬ ধারা অনুযায়ী কমিশনের মতামত প্রয়োজন। এ চিঠির পর ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি পিএসসির তৎকালীন সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে গণপূর্ত সচিবকে মতামত পাঠান। এতে বলা হয়, ‘কাগজপত্রাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ডিজারশনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী চাকরি থেকে অপসারণের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কমিশন একমত পোষণ করেছে। এ সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করার জন্য বলা হলো।’ এর কিছুদিনের মধ্যেই তাকে অপসারণ করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। চাকরি হারানোর পর প্রকৌশলী মইনুল ইসলামের পক্ষ থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি আবেদন করা হয়। সেখানে তিনি চাকরি ফিরে পেতে মানবিক দিকসহ নানা বিষয় বিবেচনা করার কথা বলেন। এরপর গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবের কাছে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন এবং আরও বেশকিছু সময় দেশের বাইরে অবস্থান করার কথা উল্লেখ করেন। তাই এ প্রকৌশলীর বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। এরপর এ বিষয়ে মতামত নিতে ২০১৪ সালের ১১ মে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব তন্দ্র শিকদার পিএসসির সচিবের কাছে চিঠি দেন। এ চিঠি পেয়ে পিএসসির তৎকালীন সচিব একেএম আমির হোসেন একই বছরের ২৩ জুন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে বলেন, ‘মইনুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণে বিধিগত পদ্ধতি সঠিক ছিল। প্রকৌশলী মইনুল ইসলামকে পুনর্বহালের উদ্দেশ্যে তার বিষয়ে পুনরায় কমিশনের মতামত চাওয়া হয়েছে। বিধিগতভাবে চাকরি পুনর্বহালের সুযোগ নেই মর্মে কমিশন অভিমত ব্যক্ত করেছে।’ এ চিঠি পাওয়ার পর ২০১৪ সালের আগস্টের ১৯ তারিখ তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. গোলাম রব্বানী একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রকৌশলী মইনুল ইসলামকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেন।

প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার দৌড়ে জোড়েশোড়ে তদবীর করছেন ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব আবুল খায়ের। কিন্তু তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা কালে অব্যহতভাবে দূর্নীতি ও টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তা নিজেকে এখন বিএনপিপন্থী ও বঞ্চিত দাবী করলেও বিগত ১৫ বছর খুব মন দিয়ে মুজিব বাদ চর্চা করে গেছেন। ঘটা করে মুজিব কর্নার উদ্বোধন অনুষ্ঠান করে সেখানে মুজিব আদর্শে জীবন গড়তে সবাইকে উপদেশ দিতেন।

র,ম,আ,ওবায়দুল মুক্তাদিরকে মোটা অঙ্কের উতকোচদিয়ে চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ বাগিয়ে নেন। জনশ্রুতি আছে সেখানে গিয়ে উচ্চমাত্রার পারসেন্টেজ দাবি ও বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী বিক্রেতাদের কাছে টাকা, সোনার গহনা ঘুষ দাবি করায় সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উচ্চমহলে অভিযোগ করে তাকে তাড়ায়। সেখান থেকে রংপুর গিয়ে তিনি একই কায়দায় চলতে থাকেন। সে সময়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তার স্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। তার অনিয়ম তদন্তে তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পিএন্ডএসপি ) জনাব শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আবুল খায়েরকে প্রধান প্রকৌশলী করতে মরিয়া বিএনপি পন্থী ও EAB নেতা ঢাকার ফিল্ডের একজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী । খায়ের এর পক্ষে খুব জোড়ালো ভূমিকা রাখছেন ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম সানাউল্লাহ। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও পূর্ত উপদেষ্টার কাছের লোকদের কাছে খায়েরের প্রধান প্রতিদ্বন্দী খালেকুজ্জামান এর বিরুদ্ধে কান ভারি করে যাচ্ছেন। সানাউল্লাহ ইতোপূর্বে খায়েরের সাথে কাজ করেছেন এবং দুজনের মধ্যে চরম সখ্যতা রয়েছে। এই সানাউল্লাহ আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ভারতীয় দুতাবাসের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল বিধায় ২০১৬ থেকে ২০১৮ অব্দি গণভবনের এসডিই এবং ২০২৩ এর ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি নির্বাহী প্রকৌশলীর দ্বায়িত্বে আছেন। আওয়ামীলীগের গুন্ডা ও ঠিকাদাররা স্পন্সর করে তাকে এই চেয়ারে বসিয়েছেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ এ তার ভূমিকা ছিল জাতির স্বার্থ বিরোধী ও ন্যক্কার জনক। ছাত্র গনহত্যায় তিনি দফায় দফায় ছাত্রলীগের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন এবং অর্থায়ন করেছেন।তিনি এখন এক জামায়াত নেতার শেলটারে এখনও টিকে আছেন। কিন্তু এখনো তার দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি। সানাউল্লাহকে সামনে রেখে আওয়ামীপন্থী অফিসারদের মধ্যে যারা এখন সুবিধা জনক স্থানে নেই তারা চাচ্ছেন খায়ের প্রধান প্রকৌশলী হলে উৎকোচ দিয়ে আবার ঢাকায় ঢুকে যাবেন। এদের মধ্যে নন্দিতা রানী শাহা, স্বর্নেন্দু শেখর মন্ডল, অর্নব বিশ্বাস, আমানুল্লাহ সরকার, সাবেক নগর গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান (২২ তম বিসিএস); সমীরন মিস্ত্রী, জাহাঙ্গীর (নির্বাহী প্রকৌশলী ই, এম), উপবিভাগীয় প্রকৌশলী , মেহেবুব, ইফতেখার সাদ, জোবায়েদ জসিম পাপন প্রমুখ। এছাড়া একটি অংশ চাইছে শামীম আখতারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হোক । শামীম আখতারের এক্সটেনশন জন্য অর্থ যোগান দিচ্ছে ঢাকা ডিভিশন ৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা, আজমূল হক মূন, নির্বাহী প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম ও , শেরে বাংলা নগর ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লতিফুল ইসলাম প্রমুখের নাম শোনা যায়। শামীম আখতার নিজে শেখ পরিবারের আশীর্বাদ পুষ্ট । হাসিনা তাকে মেধা তালিকায় ৬ জনকে ডিঙ্গিয়ে এই চেয়ারে বসান। তিনি সালমান এফ রহমানের ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন।তিনি নিজে ফ্যাসিস্ট এর দোসর। কিন্তু বর্তমানে টাকা ছিটিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন। খালেকুজ্জামানও জোড়ালো লবি মেইন্টেইন করে চলেছেন এবং আস্থা ভাজন কর্মকর্তা, ঠিকাদার, আমলা, রাজনীতিবীদদের সমন্বয়ে শক্তিশালী নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। কিন্তু তার বিরোধী পক্ষও থেমে নেই। ইতোপূর্বে শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়া ও বৈদেশিক শিক্ষা সনদের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলা, বেইলি রোডে অগ্নি কান্ডের ঘটনাইয় তার প্রেষনে রাজউকে অথরাইজড অফিসার থাকা কালে ভূমিকার কথা সামনে এনে তার বিরোধী মহল মিডিয়ায় প্রচার করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর করছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত এই দ্বৈরথে কে জয়ী হয়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর