ট্রেন–মেট্রোতে শিক্ষার্থী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে হাইকোর্টে রিট

মানব কথা: ট্রেনে শতভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট চালু এবং ট্রেন ও মেট্রোরেলে শিক্ষার্থী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান মুরাদ এ রিট দায়ের করেন। রিটের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আরিফুর রহমান মুরাদ।
রিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (মেট্রোরেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
আরিফুর রহমান মুরাদ বলেন, জনস্বার্থে মোট ১৩টি বিষয়ে রুল ও নির্দেশনা জারির জন্য চাওয়া হয়। ট্রেনে যাত্রীদের সুবিধা বাড়ানো এবং নানা ধরনের অনিয়ম দূর করার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এতে যেসব নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—
১. ট্রেনে দাঁড়ানো যাত্রীদের ১০০ শতভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট পুনরায় চালু করা।
২. ছাত্র-ছাত্রী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া নির্ধারণ।
৩. রেলওয়ে স্টেশনে স্থাপিত ভেন্ডিং মেশিনে অতিরিক্ত চার্জ না কাটা।
৪. যাত্রী বান্ধব করতে ও ভিড় কমাতে ট্রেনে পর্যাপ্তসংখ্যক বগি যুক্ত করা।
৫. শিডিউল অনুযায়ী সঠিক সময়ে ট্রেন পরিচালনা করা।
৬. স্টেশনে মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করা।
৭. দুর্নীতি রোধে আন্তঃনগর ট্রেনে টিটিইর পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বগির অ্যাটেনডেন্টকে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দিয়ে কমিশন প্রদানের মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যবস্থা চালু।
৮. অসুস্থ ও সম্মুখ সারির যাত্রীদের জন্য অনলাইনে/অফলাইনে সিট বুকিংয়ের সুযোগ রাখা।
৯. মেট্রোরেলে শুধুমাত্র মাগরিব নামাজের স্থান নির্ধারণ।
১০. মেট্রোরেলে পাবলিক টয়লেটের ইজারা বাতিল।
১১. কমলাপুর স্টেশনে জয়দেবপুরের কাউন্টারে নরসিংদীর টিকিট বিক্রি।
১২. তিতাস কমিউটার ট্রেনের টয়লেটে নিয়মিত পানি ও পাত্রের ব্যবস্থা।
১৩. দুর্ঘটনা রোধে সব রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে বাইরে স্থানান্তর।