ডেঙ্গু নাকি চিকুনগুনিয়া? লক্ষণ দেখে সহজে বুঝবেন

মানব কথা: চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ প্রাথমিকভাবে প্রায় একরকম হলেও কিছু পার্থক্য রয়েছে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—মূল পার্থক্য:
উপসর্গের ধরন:
ডেঙ্গু: তীব্র জ্বর, শরীরে লাল র্যাশ, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া: জ্বর শুরু হয়, পরে থেমে থেমে আসে, তীব্র জয়েন্ট ও হাড়ের ব্যথা হয়।
ব্যথার তীব্রতা:
ডেঙ্গু: হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা।
চিকুনগুনিয়া: তীব্র জয়েন্ট ব্যথা, হাঁটাচলায় সমস্যা, হাত-পা ফুলে যায়।
রক্তসংক্রান্ত ঝুঁকি:
ডেঙ্গু: প্লাটিলেট কমে গেলে রক্তক্ষরণ ও শক সিনড্রোমের ঝুঁকি থাকে।
চিকুনগুনিয়া: প্লাটিলেট কমে না যায়, রক্তক্ষরণ বা প্রাণহানির ঝুঁকি নেই।
র্যাশ ও চামড়া প্রভাব:
ডেঙ্গু: লাল র্যাশ সাধারণ, চামড়া কালো বা লাফানো হয় না।
চিকুনগুনিয়া: র্যাশ কম দেখা যায়, তবে ত্বকে ফাটা বা উঁচু হওয়া হতে পারে।
শরীরের অন্যান্য প্রভাব:
ডেঙ্গু: লিভার, কিডনি, হার্ট প্রভাবিত হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া: শারীরিক অঙ্গ যেমন লিভার, হার্ট, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
পরীক্ষা ও শনাক্তকরণ:
ডেঙ্গু: জ্বরের ২-৩ দিনের মধ্যে টেস্টে শনাক্ত।
চিকুনগুনিয়া: জ্বরের ৫-৭ দিন পর আরটি-পিসিআর বা সেরোলজি টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত।
চিকিৎসা ও যত্ন:
সাধারণ চিকিৎসা: প্যারাসিটামল, পেইনকিলার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
ডেঙ্গু রোগী: প্রয়োজন হলে রক্ত প্রদান ও হসপিটালাইজেশন।
চিকুনগুনিয়া রোগী: ব্যথা ও জ্বর নিয়ন্ত্রণই প্রধান লক্ষ্য।
উভয় রোগীর জন্য: প্রচুর তরল, ফলমূল এবং সঠিক ডায়েট অপরিহার্য।