ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে উপকূলে দমকা হাওয়া-বৃষ্টি

সময়: 1:06 pm - October 23, 2024 |

মানব কথা: বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। নদীর তীরবর্তী এলাকায়ও দমকা বাতাস বইতে দেখা যায়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দুপরে এর আগে দেয়া ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে নতুন এ সংকেত জানানো হয়।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে খুলনা শহরে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড় দানা আরও পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম দিকে এগোতে পারে এবং ঘণীভূত হতে পারে।

আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটাররের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ দিকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সর্বশেষ গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনও মেরামত করা হয়নি।

জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি আরও দুর্বল হয়েছে। ‘দানার’ আঘাতের আগে বাঁধ মেরামত না হওয়ায় উৎকণ্ঠায় রয়েছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর