রেমিট্যান্সে রেকর্ড: প্রথমবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

মানব কথা: চলতি অর্থবছর প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছরের দু’দিনের হিসাব বাকি থাকতেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৪ কোটি ডলার।
এর আগে করোনার মধ্যে ২০২০–২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল। এতে করে রিজার্ভও হু হু করে বেড়ে এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ ঋণ জালিয়াতি ও দুর্নীতি কমে আসায় অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর আগে করোনার মধ্যেও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ ছিল ওই সময়ে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে হুন্ডি চাহিদা তেমন ছিল না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুনের ২৮ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা ২৫৪ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২৩৭ কোটি ডলার। চলতি মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১৭ কোটি ডলার বা ৭ শতাংশের বেশি। ঈদের কারণে চলতি মাসের প্রথম দিকে টানা ১০দিন বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে অর্থবছরের শুরু থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ২৬ শতাংশ বেশি।
রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে ৯ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আবার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ পেয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ উঠেছে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। গত দুই বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
এর আগে রিজার্ভে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড হয় ২০২১ সালের আগস্টে। তবে পরবর্তীতে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় রিজার্ভ নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আবার বাড়ছে।