বিএডিসিতে নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করলো কৃষি মন্ত্রনালয়

সময়: 9:13 am - September 3, 2025 |

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বিদ্যমান ”বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ ব্যবস্থাদির আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়ন (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পে নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের অভিযোগে সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপান-উতোর বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংস্থার কয়েক জন কর্মকর্তা আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিকে জানান কেবল উর্ধবতন এক কর্তার আশীর্বাদে নিয়মনীতি শিথিল করে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় প্রকল্প পরিচালক হিসাবে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের কানাঘুষাও রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ মার্চ, ২০২৫ হতে ফেব্রুয়ারী ২০২৮ ইং পর্যন্ত। পিডি নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ০৯/০২/২০১৬ তারিখে, ২০.৮০৪.০২২.০০.০০.০০৬.২০১০/৪ স্মারকে জারিকৃত অবশ্য পালনীয় নির্দেশাবলীর ৩.২ (ঙ) অনুযায়ী “প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস চাকুরীর মেয়াদ থাকতে হবে” মমে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ইব্রাহীম খলিলের চাকুরির মেয়াদ প্রকল্প শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগেই শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া ৩.২(খ) অনুযায়ী যে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা এবং প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত প্রশিক্ষনের আবশ্যকতা রয়েছে তাতেও তার ঘাটতি রয়েছে। তদবীরবাজ এই কর্মকর্তা আওয়ামী সরকারের পুরোটা সময় ঢাকায় পোস্টিং নিয়ে ছিলেন। “মুজিব বর্ষে বিএডিসি, কৃষি সেবায় দিবানিশি” স্লোগান খুব গর্বভরে প্রচার করতেন ততকালীন এই পরিচালক। বাহাউদ্দিন নাসিমের সাথে সক্ষতার কারনে উপ- পরিচালক থেকে পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সুড়সুড়িয়ে। এখন আবার ভোলপাল্টে নিজেকে বঞ্চিত প্রমান করতে চাইছেন। কোন এক যাদুমন্ত্র বলে সবাইকে ম্যানেজও করে ফেলেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে জারীকৃত আদেশে উক্ত প্রকল্পে পিডি হিসেবে ড. মো: ইব্রাহিম খলিল’কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। । উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বিএডিসি’র চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত পত্রে পিডি হিসেবে তিনজন কর্মকর্তার নাম প্রস্তাবের পরপরই অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করে ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায় গত ২১ শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা করার কথাও বলা হয়েছিল। প্রতিবেদক এ অনিয়মের বিষয়ে কৃষি উপদেষ্টা ও কৃষি সচিবের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে দাপ্তরিক শৃঙ্খলার স্বার্থে নিয়ম লঙ্খন না করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়লে আমদানি ব্যয় কমবে, কাজেই কৃষি অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ন ভিত্তি। সেখানে এমন কারিগরি পদে যোগ্য লোককে নিয়োগ না দিয়ে পছন্দ মাফিক তাবেদার নিয়োগ দিয়ে প্রকল্পের সাফল্য ঝুকির মুখে পড়েছে। সে জন্য ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধে উঠে এবং স্বেচ্ছাচারিতা পরিহার করে যোগ্যলোক নিয়োগ দেয়া হোক এমনটাই কাম্য। মানব কথা সরজমিনে অনুসন্ধান করে একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় প্রকল্প পরিচালক বিধি লঙ্ঘন করে নিয়োগ করায় উক্ত প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ বাতিল না করলে আদালতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রিট করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর