গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম ফারুক ঢাকা পোষ্টিং বাগিয়ে নিতে সক্রিয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম ফারুক চৌধুরী দুর্নীতিতে তার অবস্থান শীর্ষে থাকায় খুব অল্প সময়ে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার সুবাদে বস্তা ভরে টাকা নিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর আবারও ঢাকা পোষ্টিং বাগিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
জানা গেছে, শাহ আলম ফারুককে বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগে বদলী করা হলেও তিনি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিনের বেশি অফিস করেন ঢাকা হেড অফিস ও মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন জায়গায়। বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগের সিসি টিবি ফুটেজ দেখেলেই প্রমান পাওয়া যাবে যে সে সপ্তাহে কয়দিন অফিস করে। বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগে অনুপস্থিত থাকার বিষয় খুলনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ডি কস্তা মুঠোফোন কল দিলে তিনি বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর ছয় বছর যাবৎ সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় টানা ০৬ বছর একই কর্মস্থলে থেকে মোঃ শাহ্ আলম ফারুক চৌধুরী আলোচিত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভাই শেখ সেলিম প্রভাবে বড় কমিশনের বিনিময়ে অনিয়ম করে কাজ ভাগ বন্টন করতেন।
ফ্যাসিবাদের দোসর মোঃ শাহ্ আলম ফারুরক চৌধুরীর ঢাকা শহরে বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, কুমিল্লা এ ২৩ একর জমি একাধিক ব্যাংকে নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা জমা রয়েছে।
২০১৮ সালে ফ্যাসিবাদ সরকার গঠন করার পর ছাত্রলীগ নেতা খ্যাত, মোঃ শাহ্ আলম ফারুক চৌধুরী ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ বদলী হয়ে টানা ছয় নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালন করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মত গুরুত্বপূর্ন জায়গার মেরামতের কাজ দেখিয়ে ছয় বছরে শেখ সেলিমকে বড় কমিশন দিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়। প্রধান প্রকৌশলীর সার্কুলার/নির্দেশনা থাকা সত্তেও এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র করার কথা থাকলেও শতকরা ৯০% ভাগ ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র করে পছন্দের ঠিকাদারদের ২০% কমিশনের বিনিময়ে কাজ দিতেন। মহানগর দক্ষিনের যুবলীগ নেতা তাজবিরুল ইসলাম অনু নামকোয়াস্তে কাজ বানিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ না করেও বিল তুলে নিয়ে শাহ্ আলম ফারুক চৌধুরী মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এই অর্থ তাজবিরুল ইসলাম অনু গণতন্ত্রেও টুটি চেপে ধরে ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য সন্ত্রাসী লালনে নিমিত্তে এই অর্থ ব্যয় করেনে। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দুই দিনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে দরপত্র আহবান করেন প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর ইজিপি দেখলে প্রমান পাওয়া যাবে। বিগত বছর গুলিতে একই কাজ করেন যা ইজিপি এখনও প্রমান পাওয়া যাবে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ২২ জুন ২০২৩ জুন ক্লোজড থাকলেও তার দপ্তরে ইজিপি পোর্টালে ২৮ জুন ২০২৩ দরপত্র উন্মুক্ত হয়েছে। যার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার কে বড় কমিশন নিয়ে বিল পরিশোধ করেছেন। ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ পরিবারের লুটতরাজের অন্যতম সহচর পিয়ারু সর্দার কে তিনি গণভবন ও ধানমন্ডি ৩২ এর ১২ মাসের ১৩ পারবন এর রেকর্ড ভঙ্গ করে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জার নামে বৌতিক বিল পরিশোধ করেন। তিনি পিয়ারু সর্দারের নাতি তানভীর কে কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছেন। এই তানভীর কুমড়ো পোটাশ খ্যাত ফ্যাসিবাদের অন্যতম সংগঠক সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাতের সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্জ এন্ড ইনফরমেশন) এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন।